সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ | সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে

    সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫


    এই বছর থেকেই সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বাংলাদেশ থেকেই করতে পারবেন এক্ষেত্রে এখন থেকে আর দিল্লির মাধ্যমে সুইডেনের ভিসা করা লাগবে না। বাংলাদেশের নতুন সরকার হওয়ার পর থেকেই এই নিয়মগুলো চালু করেছে। আগে যে সমস্ত ভিসা সার্ভিসগুলো ইন্ডিয়া দিল্লির মাধ্যমে করা হতো সেগুলো এখন সরাসরি বাংলাদেশ থেকেই করতে পারবেন তার মধ্যে সুইডেনের ভিসা ও এখন ঢাকা সুইডেন অফিস থেকে সমস্ত ভেজা কার্যক্রম করা যাচ্ছে।


    তাই বলা যায় এখন থেকে সুইডেনের যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাতে চান তারা চাইলে খুব সহজেই আপনারা ঢাকা অফিসের মাধ্যমে সুইডেন কাজের ভিসা বা সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন এক্ষেত্রে আগে থেকে আপনাকে আবেদন করে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জমা দিয়ে আপনারা ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। আজকে আমরা কথা বলছি সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ নিয়ে এবং সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়গুলো নিয়ে।


    সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

    এখন থেকে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে আগের তুলনায় খরচ কিছুটা কম পড়বে। মূলত বাংলাদেশের মানুষজন আগে দিল্লির মাধ্যমে সুইডেনের ভিসার আবেদন করত এক্ষেত্রে খরচ বেশি পড়তো কিন্তু এখন সরাসরি বাংলাদেশের ঢাকা থেকে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট অথবা সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসা সহ যাবতীয় সুইডেনের ভিসা কার্যক্রম ঢাকা থেকে করা হচ্ছে।


    তাই আপনারা যদি ঢাকার মাধ্যমে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে চান তাহলে আপনাদের খরচ করতে হবে ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদ থাকবে ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত। অবশ্যই আপনারা যখন সুইডেনে কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন তখন আপনাকে চিন্তাভাবনা করতে হবে যে আপনি আসলে কত টাকা বেতন পাচ্ছেন আপনি যদি ভালো বেতন পান এবং যদি এক বছরের মধ্যে বেতন আপনার যাওয়ার খরচের টাকা তুলে ফেলতে পারেন তাহলেই যাওয়া উচিত।


    সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে 2025

    সুইডেনে আপনি কি উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে মূলত কত টাকা লাগে সেটা বলা যাবে। মনে করেন আপনি যখন স্টুডেন্ট যাবেন তখন কিন্তু খরচ পড়বে প্রায়ই ১০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ লক্ষ পর্যন্ত। তবে আপনি যদি সাধারণ কর্মী অথবা বিভিন্ন জব নিয়ে সেখানে যেতে চান তাহলে ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে এই সুইডেনে যেতে পারবেন।


    তবে যারা নরমালি কাজের ভিসা নিয়ে তিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে যেতে চাই তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু খরচ পরে প্রায় ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। তবে বাংলাদেশের সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যদি যান তারপরেও কিন্তু আপনার এরকম খরচ পড়তে পারে তবে কমবেশি দু-এক লাখ টাকা খরচ বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।


    সুইডেনে কোন কাজের চাহিদা বেশি 2025

    সুইডেনে সবথেকে কাজের চাহিদা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে এক্ষেত্রে নার্সিং বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের চাহিদা সবথেকে বেশি, এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার, তথ্য প্রযুক্তি নির্মাণ শ্রমিক এবং কৃষি কাজের কর্মীদের চাহিদা বেশি। তবে সাধারণত যারা নরমাল কর্মী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে যেতে চাই তাদের ক্ষেত্রে নির্মাণ শ্রমিক এবং কৃষি কাজে পারদর্শী হলে সুইডেনে কাজ পাওয়া অনেকটাই সহজ। সুইডেনের সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন কাজের লিস্ট

    • সরকারি নার্সিং
    • সফটওয়্যার ডেভেলপার
    • সিভিল
    • ইলেকট্রিক্যাল
    • ওয়েলেন্ডার
    • পাইপ ফিটিং
    • বিল্ডিং টেকনিশিয়ান
    • ট্রাক এবং বাস ড্রাইভার
    • মেশিন অপারেটর
    • কৃষি
    • কারখানা অপারেটর


    তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ছুটি নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে কিন্তু যে কোন মুহূর্তে যদি কাজ পেতে চান তাহলে কি সেই উৎপাদন বা কৃষি যন্ত্রপাতি অপারেটর ব্যবহার করার যদি সক্ষমতা থাকে তাহলে আপনার কাজ পাওয়ার সবথেকে সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং ভালো পরিমাণ বেতনও তুলতে পারবেন।


    সুইডেনে কিন্তু আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজগুলো করা হয়ে থাকে তাই আপনার কিসে যন্ত্রপাতি এবং কৃষি কারখানা গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন এবং আপনি ভালো পরিমাণ বেতন তুলতে পারবেন।


    সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে করবেন

    সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সরাসরি বাংলাদেশের ঢাকা অফিসে গিয়ে যদি আপনারা আবেদন করেন তাহলেই ৪৫ দিনের মধ্যেই আপনি ভিসা পাবেন কিনা তা নিশ্চিত করবে। তবে এক্ষেত্রে সুইডেনের ভিসা নিতে হলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট থাকতে হবে যেমন আপনি কি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তাহলে সেই কাজ সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে কিনা। 


    আপনি সেখানে কতদিন অবস্থান করবেন এবং আপনার সেই দক্ষতা বা যোগ্যতা আছে কিনা এবং ভাষাগত কোন সমস্যা আছে কিনা এ বিষয়গুলো দেখা হয়ে থাকে তাছাড়া আপনি যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাচ্ছেন সেটা কতদিন মেয়াদের এবং সেখানে গিয়ে আপনার বসবাসের স্থান এবং আপনার কোম্পানির কি অবস্থান তার সকল বিষয়গুলো দেখা হয়ে থাকে।


    বর্তমানে সুইডেনে যদি আপনি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি থাকে অথবা পরিচিত কোন কোম্পানি যদি থাকে তাহলে তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে কিন্তু খুব সহজেই সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে।


    সুইডেন ভিসা আবেদন আবেদন ২০২৫

    ২০২৫ সালে যদি আপনি সুইডেন ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে সরাসরি ঢাকা অফিসের মাধ্যমে এখন থেকে আপনারা সুইডেন ভিসা আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে সুইডেনের ভিসা আবেদন করতে হলে আপনার নিবন্ধন আইডি কার্ড এবং আপনার একটি পাসপোর্ট এর কপি থাকতে হবে। এরপরে আপনি সরাসরি যে কাজে প্রমাণ নিয়ে গিয়ে আপনি সরাসরি সুইডেনের ভিসার আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য কি কি লাগবে নিচে লিস্ট তুলে ধরা হলো।


    • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
    • পাসপোর্ট এর মেয়াদ ৬ মাস থাকতে হবে
    • নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতার প্রমাণ
    • চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত সনদ
    • ইংলিশ ভাষা দক্ষতা
    • সুইডেনের জব অফার লেটার
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
    • প্লাস তিন মাসের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট

    এই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নিয়ে আপনারা সরাসরি এখন ঢাকা অফিসের মাধ্যমে সুইডেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন বর্তমানে দিল্লির মাধ্যমে আর করা লাগছে না। তাই অবশ্যই আপনাদেরকে এই ঢাকা অফিসের মাধ্যমে করলে কম খরচ এবং প্রতারণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এটাই অবশ্যই নিজে গিয়ে সরাসরি অফিসের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদন সম্পন্ন করুন।


    সুইডেনে কাজের বেতন কত ২০২৫

    বর্তমানে আপনি যদি ২০২৫ সালের সুইডেনে কাজের ভিসা নিয়ে যান তাহলে বেতন ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসে ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নির্ধারিত একটি কাজের উপর যদি দক্ষতা থাকে তাহলে বেতন কিন্তু আরো বেশি পরিমাণ পাবেন। একজন কৃষি কাজে পারদর্শী কর্মীর বেতন মাসে ২ লক্ষ টাকা।


    এছাড়া নির্মাণ শ্রমিক বা কাজ তো কর্মী হিসেবে সেখানে কাজ করেন সেক্ষেত্রে বেতন ৩ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাছাড়া রেস্টুরেন্ট কর্মী বা ক্লিনার কর্মী হিসেবেও কিন্তু সেখানে ভালো পরিমান কাজ পাওয়া যায় এবং স্টুডেন্ট হিসেবে যারা সেখানে গিয়ে কাজ করে তারাও কিন্তু ভালো পরিমাণ বেতন তুলে নিজের খরচ চালিয়ে নিতে পারে।


    বাংলাদেশ থেকে সুইডেন বিমান ভাড়া কত

    বাংলাদেশ থেকে সুইডেনে যেতে বিমান ভাড়া পড়বে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আপনি যদি সাধারণ নরমাল ক্লাসিক বিমানগুলোতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা খরচ করলে আপনি বাংলাদেশ থেকে সুইটে এনে যেতে পারবেন। তবে সাধারন তো যারা নরমাল কর্মী বা ওয়ার্কার রয়েছে তারা কিন্তু ক্লাসিক বিমানগুলোতে দুই লাখ ৭৫ হাজার বিমান ভাড়া দিয়েই যাতায়াত করে।


    তবে বাংলাদেশ আমরা সবাই বিমানের ভাড়া কম বেশি হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার জেনে রাখা উচিত যে বিমানের ভাড়া কিন্তু যদি আপনি আগে টিকিট কেটে রাখেন তাহলে খুবই কমের মধ্যে পড়ে তবে যদি আপনি যেদিন যাবেন দু একদিন আগে কাটেন তাহলে কিন্তু আপনার বিমান ভাড়া বেশি পড়তে পারে তাই অবশ্যই আপনি যাওয়ার আগে অন্তত এক মাস আগে বিমান টিকিট কেটে রাখতে পারেন।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন