২০২৫ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে রিওভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের পাঁচ জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করেছে। তবে বাংলাদেশে এই ভাইরাস এখন পর্যন্ত কারোরই অবস্থা গুরুতর হয়নি বলেও জানিয়েছে।
শীতে খেজুরের কাঁচা রস পান করার কারণে প্রত্যেক বছরই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। ২০২৪ সালে এ রোগটি তেমন বিস্তার করতে পারেনি কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচ জন ব্যক্তির এই প্রথম রিওভাইরাস ধরা পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার ইউনিভার্সিটি সহযোগিতায় নিয়মিত গবেষণা করা হচ্ছে এই ভাইরাসটি নিয়ে এবং এর প্রতিকার নিয়েও বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরা হলো।
রিওভাইরাস কি
রিওভাইরাস একটি ডাবল স্ট্যান্ডেড আরএনএ ভাইরাস যা মানুষের শরীরে পরিপাকতন্ত্রে সংক্রমিত করতে পারে। এই ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত গুরুতর রোগের কোন কারণ হয়নি। এ ভাইরাসটি মানুষের শরীরে হালকা লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন জ্বর, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি। রিওভাইরাস এর শব্দটি Respiratory Enteric Orphan এসেছে এবং এই ভাইরাসটির প্রাথমিক দিকগুলো নির্দেশনা করে।
রিওভাইরাসের লক্ষণ
রিওভাইরাসের সংক্রমণ অনেক সময় সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে লক্ষণহীন থাকতে পারে। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের মধ্যেই এই লক্ষণগুলো বেশি প্রকাশ পায়। প্রিয় ভাইরাসের লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলো:
- ডায়রিয়া
- পেট ব্যথা
- বমি হওয়া
- খোদা মন্দ
- হালকা জ্বর
- সর্দি লাগা
- অবসাদ এবং ক্লান্তি
- শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
- শরীরের ব্যথা
- শিশুদের ওজন কমে যাওয়া
- তীব্র আকারে শ্বাসকষ্ট
এই লক্ষণ গুলোর মধ্যেই সব লক্ষণ গুলো যে দেখা দিতে হবে তা কিন্তু না এক্ষেত্রে কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দিলেও কিন্তু রিওভাইরাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে তাই অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ছেলেরা মেয়েদের কোন জিনিস বেশি পছন্দ করে
রিওভাইরাস লক্ষণ দেখা দিলে কি করবেন
রে ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে বেশি পরিমাণে তরল পানি। যদি ডায়রিয়া হয় তাহলে অবশ্যই স্যালাইন পানি পান করুন। শিশুদের ক্ষেত্রে যদি এই লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তাহলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রিওভাইরাসের কারণে সংক্রমণ যদি গুরুতর হয় তাহলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।
এক্ষেত্রে অবশ্যই রোগীকে যত্ন সহকারে রাখতে হবে এবং কোন ধরনের অবহেলা করা যাবে না। রোগীর সচেতনতার জন্য রোগীকে যাতে সেই সময় ওষুধ অথবা প্রয়োজনীয় খাদ্য সঠিকভাবে দেওয়া হয় এবং সেই সাথে রোগীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সচেতন থাকতে হবে।
রিওভাইরাস প্রতিরোধের উপায়
রিওভাইরাস সংক্রমণ রোধ করার জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং সচেতনতা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবার আগে ভালোমতো সাবান পানি দিয়ে হাত দিতে হবে। শিশুদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বসহকারে এই বিষয়গুলো নজর রাখতে হবে। নিরাপদ খাবার পানি এবং সংক্রমিত ব্যক্তির স্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
- রোগ প্রতিরোধের জন্য ক্ষমতা বাড়ানো
- রিও রিওভাইরাস লক্ষণ বেশি দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
- পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন
- শিশুর ক্ষেত্রে শিশুর সুরক্ষার জন্য নজর দিন
- সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন
- নিরাপদ খাবার পানি পান করুন
- সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহারের জিনিস ব্যবহার করবেন না
এ সকল বিষয়গুলো যদি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় তাহলে রিওভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই এক্ষেত্রে শিশু এবং বৃদ্ধ মানুষের দিকে নজর রাখুন যেকোন লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবা সেবা নিয়ে দ্রুত সুস্থ করুন।
খারাপ মেয়ে চেনার কয়েকটি লক্ষণ দেখুন
এটা কঠিন কোন রোগের লক্ষণ নয় এক্ষেত্রে এর সংক্রমণ কিন্তু কোন কোন সময় নাও দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই এই সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেই খুব সহজেই রিওভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রিওভাইরাসের বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা এখন পর্যন্ত পাঁচ জন ব্যক্তির শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পাঁচ জনার গুরুতর কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে ডাক্তাররা এখন পর্যন্ত এ বিষয় নিয়ে সতর্কমূলক বিষয়গুলো জারি করেছে এরই মধ্যেই বিভিন্ন মেডিকেলগুলোতে এই বিষয় নিয়ে সতর্কভাবে নজরদারি করছে।
শুধুমাত্র বৃদ্ধ এবং শিশুদেরকে এই বিষয় নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং এ রোগের লক্ষণ গুলো দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে অথবা ক্লিনিকে ভর্তি করাতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন