বর্তমানে যারা সৌদি আরবে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবত অপেক্ষা করছেন তারা আসলেই নির্দিষ্ট ডেট জানেন না যে আসলে কবে নাগাদ সৌদি আরবের ভিসা হাতে পাওয়া যায়। তাই আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব যে সৌদি আরবের ভিসা আস্তে কত দিন লাগে।
মূলত বাংলাদেশ এজেন্সি গুলার মাধ্যমে যদি আপনি সৌদি আরবের ভিসা আবেদন করেন তাহলে কিন্তু বিভিন্ন মেয়াদে ভিসা আসতে দেরি হয়। এক্ষেত্রে সৌদি কাজের ভিসার জন্য আলাদা সময় লাগে, অথবা আপনি বিজনেস ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা নিলে সেক্ষেত্রে কিন্তু আলাদা আলাদা সময় লাগে তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে কোন ভিসা আসতে কত দিন লাগে দেখে নেওয়া যাক।
সৌদি আরবের ভিসা আসতে কতদিন লাগে ২০২৫
বলতো আপনি কি ধরনের সৌদি আরবের ভিসা আবেদন করেছেন তার উপর নির্ভর করে ভিসা আসতে কত দিন লাগবে। এক্ষেত্রে কাজের ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ফ্যামিলি ভিসা ও অন্যান্য ভিসার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে সময় লাগে। শুধুমাত্র সৌদি কাজের ভিসার সময় একটু বেশি লাগে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২০ দিন পর্যন্ত। সৌদি কোন ভিসা আসতে কত দিন লাগে দেখুন।
ভিসার ধরন অনুযায়ী কত সময় লাগে দেখুন:
- সৌদি ই-ভিসা: ৪৮ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টা।
- কাজের ভিসা: ৩৫ দিন থেকে ১২০ দিন।
- টুরিস্ট ভিসা: ১৫ দিন থেকে ৪৫ দিন।
- বিজনেস ভিসা: ১৫ দিন থেকে ৪৫ দিন।
- ফ্যামিলি ভিসা: ৪৫ থেকে ৯০ দিন।
এক্ষেত্রে যদি সকল প্রক্রিয়াগুলো ঠিকঠাক থাকে এবং কাগজপত্র যদি কোন ধরনের ঝামেলা না থাকে তাহলে এই সময়ের আগেও পাওয়া যায়। যদি এর থেকেও সময় বেশি লাগে তাহলে অবশ্যই দ্রুত আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন সেই এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করুন।
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়
নিয়োগ চলমান থাকা অবস্থায় এই সময়ের মধ্যেই সৌদি আরবের ভিসা চলে আসে। তবে অনেক সময় কোম্পানি অগ্রিমভাবে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চলমান রাখে, এতে করে কর্মীরা আগে আবেদন করে রাখলেও ভিসা যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শুরু হয় তখন মূলত সেই অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে লোক পাঠাতে থাকে।
সৌদি ভিসা আসতে কেন দেরি হয়
ভিসা আসতে দেরি হয় কেন:
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি ঠিকঠাক না থাকে
- কাজের ভিসার জন্য দক্ষতা না থাকলে
- মেডিকেল রিপোর্ট সঠিক না হলে
- টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সঠিক না হলে
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট না থাকলে
- নামের ভুল বা কাগজে কোন ভুল থাকলে
এই কাগজপত্র যদি কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে আপনি যেকোনো ধরনের ভিসা করতে গেলে কিন্তু ভিসা আসতে দেরি হবে। এক্ষেত্রে আপনার এজেন্সির মাধ্যমে এ বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে যে কি কারণে দেরি হচ্ছে কোন ভুল থাকলে সেগুলো অবশ্যই সংশোধন করে নিবেন।
দ্রুত কিভাবে সৌদি ভিসা পাবেন
আপনি যদি দ্রুত সৌদি আরবে ভিসা পেতে চান তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মেডিকেল রিপোর্ট ভিসা ফি সবগুলো আগে থেকেই আপনাকে পূরণ করতে হবে। এবং এ সমস্ত কাগজপত্র এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সকল কাগজপত্র যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ভিসা পেয়ে যাবেন। আবার অনেক সময় আবেদন কম থাকলে কিন্তু তার আগেও ভিসা হাতে পাওয়া যায়।
আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি সৌদি আরবে অবস্থান করে এবং সে যদি আপনার ভিসার কার্যক্রম গুলো সঠিকভাবে দেখভাল করে তাহলে কিন্তু দ্রুত ভিসা পাওয়া যায়। মূলত কাজের ভিসার ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক সময় কোম্পানির উপর নির্ভর করে যখন কোম্পানি তার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রাখে তখন কিন্তু ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়। কোম্পানি সবকিছু যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া করে এবং চাহিদা যদি থাকে তাহলে আরো আগেই ভিসা হাতে পাওয়া যায়।
দ্রুত কিভাবে পাবেন:
- মেডিকেল রিপোর্ট লাস্ট তিন মাসের হতে হবে
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেখানো লাগে
- ব্যাংক স্টেটমেন্টের সঠিক তথ্যটি দেখানো লাগবে
- কি কারনে দেরি হচ্ছে এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করুন
- কোন ভুল ত্রুটি থাকলে পুনরায় গিয়ে আবার সমাধান করুন
- টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে বিমান টিকেট বা অন্যান্য সেবা গুলো নিশ্চিত করুন
- ফ্যামিলি ভিসা হলে আপনার ফ্যামিলির সদস্য এবং কে আছে অবস্থান নিশ্চিত করুন
- হোটেল বুকিং এর বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করুন
এছাড়াও যদি আপনি কাজের ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করাই লাগবে। এর মধ্যে আপনার কি কি সমস্যা হচ্ছে বা কেনই বা দেরি হচ্ছে এই বিষয় নিয়ে আপনি অবশ্যই আপনার এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অথবা আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি ভিসা দিয়ে থাকে তাহলে তার সাথেই যোগাযোগ করার সবথেকে ভালো হয়।
কুয়েত ভিসা গাইড : খরচ, প্রক্রিয়া, কোম্পানি ভিসা ও বেতন কাঠামো
সৌদি ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন লাগে ২০২৫
ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন লাগে:
- সৌদি ই-ভিসা: ৪৮ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টা।
- কাজের ভিসা: সাত থেকে দশ দিন।
- টুরিস্ট ভিসা: ৫ থেকে ১০ দিন।
- বিজনেস ভিসা: ৪ থেকে ৫ দিন।
- ফ্যামিলি ভিসা: ৫ থেকে ১০ দিন।
সৌদি কাজের ভিসা প্রসেসিং সময় কত
সৌদি কাজের ভিসা প্রসেসিং হওয়ার জন্য সময় লাগে সর্বনিম্ন ৪৫ দিন আর সর্বোচ্চ ১২০ দিন। এরপরেও যদি বেশি সময় লাগে তাহলে আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন সেই এজেন্সি আপনাকে জানিয়ে দিবে কি কারণে দেরি হচ্ছে। অনেক সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকার কারণে পর্যায়ক্রমে সিরিয়াল মেনটেন করার ক্ষেত্রে কিন্তু একটু দেরি হয়।
আবার এমনও হতে পারে কোম্পানি তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রেখেছে অথবা কোম্পানি আবেদন প্রক্রিয়ার যাচাই-বাছাই গুলো সম্পন্ন করতে পারেনি এই কারণে অনেক সময় দেরি হয়। তাই কি কারণে দেরি হচ্ছে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আপনি আপনার এজেন্সির সঙ্গে আলাদাভাবে যোগাযোগ করা সব থেকে ভালো।
রাশিয়ায় কাজের সুযোগ: ভিসা, আবেদন প্রক্রিয়া ও খরচের বিস্তারিত গাইড
সৌদি কাজের ভিসা আসতে দেরি কেন হয়:
সৌদি আরবের কাজের ভিসা আসতে দেরি হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেমন:
- কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকলে
- নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা না থাকলে
- আবেদন জমা থাকলে ভিসা আসতে দেরি হয়
- কোম্পানি সকল প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করতে দেরি করলে
- কোম্পানিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যদি বন্ধ থাকে তাহলে দেরি হয়
- কোম্পানি পুরাতন সার্কুলার গুলো যাচাই-বাছাই করতে দেরি করলে
- বর্তমানে যে ক্যাটাগরিতে লোক নিচ্ছে সেগুলোতে আবেদন বন্ধ থাকলে
এই প্রক্রিয়াগুলোর কারণেই মূলত কাজের ভিসা আসতে দেরি হয়। তবে কি কারণে দেরি হচ্ছে এ বিষয়গুলো কিন্তু অবশ্যই আপনাকে আপনার কোম্পানি বা এজেন্সির মাধ্যমে ফোন করে অথবা তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করলেই খারাপ বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিবে। মূলত দালালের মাধ্যমে যদি কাজের ভিসা প্রসেস করে থাকেন তাহলে কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার।
সৌদি ভিসা প্রসেসিং দ্রুত সম্পন্ন করার টিপস
দ্রুত প্রসেসিং করুন:
- ডকুমেন্ট এবং অন্যান্য তথ্য সম্পূর্ণ জমা দিন
- নির্ভরযোগ্য এজেন্টের মাধ্যমে সৌদি ভিসা আবেদন করুন
- স্ট্যাটাস অনলাইন এর মাধ্যমে চেক করে দেখুন
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তিন মাসের মধ্যে হাওয়া লাগে
- মেডিকেল রিপোর্ট অবশ্যই লাস্ট তিন মাসের দেখানো লাগবে
- আবেদন ফর্মে কোন ধরনের ভুল থাকা যাবে না
তবে আপনার পরিচিত কোন এজেন্সি অথবা পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি সেখানে থাকে তাহলে কিন্তু ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ হয় এবং খুবই দ্রুত হাতে পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে একটু ভিসা জটিলতা হওয়ার কারণে এবং বিভিন্ন ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করার কারণে কিন্তু ভিসা হাতে পেতে আগের তুলনায় একটু দেরি হচ্ছে।
বোয়েসেলের মাধ্যমে ফিজিতে উচ্চ বেতনের চাকরির সুযোগ
আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি কোন কোম্পানির ভিসা ম্যানেজ করে দিতে পারে তাহলে সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যেই ভিসা হাতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে যে সমস্ত এজেন্সি গুলো আছে তারা মিনিমাম একটু সময় নিয়ে থাকে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করা লাগবেই।
সৌদি আরব দালালের মাধ্যমে ভিসা আসতে কতদিন লাগে
আপনি যদি দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসা করে থাকেন তাহলে কিন্তু সময়ের কোন গ্যারান্টি থাকে না। এক্ষেত্রে দালালের পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি সৌদি আরবে থাকে সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির অধীনে অথবা নির্দিষ্ট কোন কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে তাদের দেরি হয়। দালালরা মূলত বিভিন্ন জনার মাধ্যম হয়ে কাজ করে থাকে এক্ষেত্রে অনেক সময়ের ব্যাপার। এক্ষেত্রে ৩ মাস থেকে ৬ মাস বা এর থেকে বেশি সময়ও লাগতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন