আজকে আমরা কথা বলব সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৫ এ বিষয়টি নিয়ে। সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার আগে আপনাদেরকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কেননা বর্তমানে ২০২৫ সালের সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিতে হলে বেশ কিছু নিয়ম চালু করেছে। তাই আপনি যদি সেখানে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যগুলো দেখুন।
মূলত আজকের এই কনটেন্টে ২০২৫ সালে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন এবং সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার দাম কত। সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার জন্য বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য বিশ্বস্ত কোন এজেন্সি আছে এবং কোন ট্রেনিং নিলে আপনারা সহজেই সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলো পয়েন্ট ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৫ আপডেট
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৫ এ নতুন কিছু নিয়ম চালু করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নেওয়ার জন্য অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে পয়েন্ট ভিত্তিক কর্মীদের মূল্যায়ন করা করা হচ্ছে। এছাড়াও বেশ কিছু কাজের জন্য দ্রুত ভিসা অনুমোদনের সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে ২০২৫ সালে।
২০২৫ সালে সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর প্রশিক্ষণ থাকতে হবে এবং সেই কাজের পরীক্ষার মাধ্যমে পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যেই কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সেই কাজে কত পয়েন্ট পেয়েছেন সেইভাবে আপনার মূল্যায়ন করা হবে। যদি পয়েন্ট ভালো থাকে তাহলে দ্রুত আপনার সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
রবি ইন্টারনেট অফার ২০২৫: ১৭ টাকায় ২GB
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার খবর:
২০২৫ সালের সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার দাম আগের মতই আছে তবে বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে এবং ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ৩ মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগছে। সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নেওয়ার জন্য এখন তিন মাস থেকে ছয় মাস মেয়াদী বিভিন্ন কাজের উপর প্রশিক্ষণ নেওয়া লাগছে। এরপরে সেই কাজের উপর যদি ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে পয়েন্টের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে।
আগের মতো এখন সিঙ্গাপুরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরপরই নিয়োগ হচ্ছে না এক্ষেত্রে পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে যাদের পয়েন্ট বেশি ভালো থাকছে তাদের যোগ্যতা এবং পয়েন্ট এর উপর মূল্যায়ন করে দ্রুত অনুমোদনের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। তবে নতুন যারা সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রেও আরো বেশ কিছু কয়েক টি বিষয়ে অত্যন্ত জানা জরুরী।
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়:
২০২৫ সালে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে নির্ধারিত একটি কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এখন শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ নিলেই কিন্তু সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না।
নিজেই কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সেই কাজ অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসা লাগছে এবং তারপরে মূলত কাজের উপর পরীক্ষা নিয়ে পয়েন্টের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তাই কিভাবে আপনারা দ্রুত কাজের ভিসা পাবেন সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:
- ভিসার ধরন নির্বাচন করুন
- কি কাজ করবেন তার ওপর প্রশিক্ষণ নিতে হবে
- সে কাজ সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করুন
- কাজ অনুযায়ী পরীক্ষার মাধ্যমে ভালো পয়েন্ট তুলুন
- ইংলিশ ভাষা অথবা সিঙ্গাপুর ভাষা শিখুন
- যে কাজের ডিমান্ড বেশি সেই কাজ নির্বাচন করুন
- তিন মাস থেকে ছয় মাসের কোর্স সম্পূর্ণ করে রাখুন
- নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করতে থাকুন
সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা দ্রুত পাওয়ার জন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয়ে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণভাবে জেনে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার কাজের উপর দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং যেই কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজগুলো শিখে রাখুন এবং সেই কাজের উপরেই প্রশিক্ষণ নিন। এতে করে দ্রুত কাজের ভিসা পাওয়া যাবে।
মালয়েশিয়া ভিসা: খরচ, ধরন, কলিং ভিসা আপডেট ও প্রসেসিং এজেন্ট
সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৫
সিঙ্গাপুর অদক্ষ এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য কাজের ভিসা আবেদন করা যায়। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে নির্মাণ, উৎপাদন, জাহাজ নির্মাণ, ফ্যাক্টরি, ক্লিনার, গৃহস্থালি, কৃষি কাজে বাংলাদেশি কর্মীরা প্রতিনিয়ত ভিসার জন্য আবেদন করছে। সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য বিস্তারিত দেখুন।
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হলে সরাসরি নিজেও করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে প্রসেস গুলো ভিন্ন হবে এবং অনেকটাই কঠিন হবে। এক্ষেত্রে ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে যদি সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করেন তাহলে দ্রুত সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়।
সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন:
সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য www.mom.gov.sg এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজেই আবেদন করতে পারবেন। সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো লাগবে।
- ভ্যালিড পাসপোর্ট এর কপি
- চাকরির অফার লেটার
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
- বৈধ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
তবে আপনি যখন এজেন্সির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু নিয়ম কিছুটা ভিন্ন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আপনার এজেন্সির রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী ভিসা আবেদন করতে হবে।
আপনি যদি দক্ষতার ভিত্তিতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যেই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আপনাকে অবশ্যই একটি সনদপত্র দেখাতে হবে। সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে কিভাবে আবেদন করবেন তা নিচে তুলে ধরা হয়েছে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়ম, সার্কুলার ও এজেন্সির তালিকা
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা ২০২৫
সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা কত টাকা সেটা মূলত নির্ভর করবে আপনি কিভাবে যাচ্ছেন তার উপর। সিঙ্গাপুরে দুইভাবে যাওয়া যায় একটি সরকারি ভাবে আরেকটি হচ্ছে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সির মাধ্যমে। সিঙ্গাপুরে এই দুইভাবে যাওয়ার জন্য দুই রকমের খরচ হয়ে থাকে। সাধারণত সরকার নিবন্ধিত এজেন্সির মাধ্যমে গেলে এজেন্সি ফি, আবেদন ফি, সাধারণ খরচ সহ আরো অনেক ধরনের খরচ লাগে।
সরকারি ভাবে কত টাকা লাগে:
সিঙ্গাপুরের সরকারিভাবে যেতে হলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা লাগে। তবে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের সরকারিভাবে নিয়োগ অনেক কম হয়ে থাকে। সাধারণ কর্মীদের জন্য সরকারিভাবে যাওয়া অনেকটাই কঠিন এক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষিত এবং উচ্চমানের কাজ এ যদি প্রশিক্ষণ থাকে তাহলে সরকারিভাবে কম খরচে যাওয়া যায়।
এজেন্সির মাধ্যমে কত টাকা লাগে:
সিঙ্গাপুরে বেশি সংখ্যক মানুষ এজেন্সির মাধ্যমেই যাই। বাংলাদেশ থেকে এজেন্সির মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে হলে ৬ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। সিঙ্গাপুরের দুই বছর থেকে পাঁচ বছর মেয়াদের বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ভালো মানের কাজ হলে কিন্তু বেশি টাকা লাগে।
এখানে কয়েকটি বিষয় জানা গুরুত্বপূর্ণ যে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য এজেন্সি গুলোর কিছু হিডেন চার্জ থাকে। আবার অনেক এজেন্সি আছে কোন ধরনের হিডেন চার্জ ছাড়াই বিমান ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক সকল ধরনের খরচ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্তোলন সহ সকল বিষয়গুলো একেবারেই জানিয়ে দেয়।
সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য ভালো এজেন্ট চেনার উপায়:
সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা অথবা সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য যেকোনো ধরনের ভিসা নিতে হলে অবশ্যই ভালো এজেন্ট চেনা অত্যন্ত জরুরী। কেননা বাংলাদেশের মানুষজন একটু কম শিক্ষিত হওয়ার কারণে কিন্তু অনেকেই স্বল্প মেয়াদের ভিসা দিয়ে থাকে। তাই আপনি যখন কাজের ভিসা নিবেন তখন অবশ্যই ভালো এজেন্ট চিনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- বর্তমানে এজেন্টের মাধ্যমে কাজ করছে এমন
- যে এজেন্ট সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিতে কাজ করে
- এজেন্সির নাম ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার
- এজেন্সির বর্তমানে কতজন কর্মী সেখানে কাজ করছে
- বিগত বছরগুলোতে যারা সিঙ্গাপুরে কাজে গিয়েছে তাদের ফিডব্যাক
- Google এ তাদের লোকেশন অনুযায়ী সবকিছু ঠিক আছে কিনা দেখুন
- ওই এজেন্সি থেকে কতজন গিয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করুন
বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট
বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্সির নাম ও ফোন নাম্বারের তালিকা তুলে ধরা হলো:
এজেন্সির নাম | যোগাযোগ নম্বর |
---|---|
ভিক্টরি ট্রাভেলস লিমিটেড | +৮৮০ ১৮৮৬-৩৭৩৩৭৬ |
নভোএয়ার লিমিটেড | ০১৭৫৫৬৫৬৬৬২ |
সাইমন ওভারসিজ | ০১৪০৪০৩৩১১০ |
লেক্সাস ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস | +৮৮০২ ৪১০৩ ২৮১৮ |
সানওয়ে ট্রাভেলস | +৮৮০ ১৭১১-৫৫৫৫৫৫ |
গ্লোব ট্রাভেল এজেন্সি | +৮৮০ ১৭১২-৬৬৬৬৬৬ |
প্যাসিফিক ট্রাভেলস | +৮৮০ ১৭১৩-৭৭৭৭৭৭ |
ওয়ার্ল্ডওয়াইড ট্রাভেলস | +৮৮০ ১৭১৪-৮৮৮৮৮৮ |
স্কাইওয়ে ট্রাভেল এজেন্সি | +৮৮০ ১৭১৫-৯৯৯৯৯৯ |
ব্লু স্কাই ট্রাভেলস | +৮৮০ ১৭১৬-০০০০০০ |
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশ কিছু সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আবেদনের জন্য অনেক এজেন্সি রয়েছে এক্ষেত্রে ভিসা সহ সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য সকল তথ্যগুলো এই সমস্ত এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে আপনারা করতে পারবেন। উপরে আমরা যে উল্লেখ করেছি যে সমস্ত এজেন্সি গুলো সেগুলো মূলত বাংলাদেশের মধ্যে ভালো এজেন্সি।
এছাড়া আরো অনেক ধরনের এজেন্সি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী। তাদের বিষয়ে খোঁজ নিবেন এবং অবশ্যই অগ্রিমভাবে কোন এজেন্ট অথবা এজেন্সির সাথে টাকা আদান প্রদান করবেন না এই বিষয়ে একেবারে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।
সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫
বর্তমানে ২০২৫ সালের সিঙ্গাপুরে অনেক ধরনের কাজ চালু আছে তার মধ্যে সবথেকে চাহিদা সম্পন্ন কাজের মধ্যে নির্মাণ শ্রমিক, ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভার, প্লাম্বার, ওয়েলেন্ডার সহ আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা বেশি এবং এই কাজগুলোর উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে গেলে খুব দ্রুত কাজ পাওয়া যায়।
সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে যেই কাজগুলোর উপর চাহিদা বেশি সেগুলো শিখে যদি যেতে পারেন তাহলে বেতন ভালো পাওয়া যায় এবং খুব দ্রুত কাজের নিয়োগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং আপনি কোন কাজটি পারবেন সেই অনুযায়ী কাজ শিখে সিঙ্গাপুরে যাওয়া উচিত।
সিঙ্গাপুরের চাহিদা সম্পন্ন ১০ টি কাজ:
- ফ্যাক্টরি শ্রমিক
- নির্মাণ শ্রমিক
- ড্রাইভার
- ক্লিনার
- রেস্টুরেন্ট কর্মী
- কৃষি
- ওয়েলেন্ডার
- ইলেকট্রিশিয়ান
- কেয়ারিং ম্যান
- ফুড ডেলিভারি
আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা বেশি এবং বেতনও বেশি তবে বাংলাদেশের শ্রমিকদের এই সমস্ত উন্নত মানের কাজ করতে হলে কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের উপর ব্যাপক দক্ষতা থাকা লাগে।
সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত ২০২৫
সিঙ্গাপুরের ২০২৫ সালে বিভিন্ন পেশার বেতন মূলত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে ইলেকট্রিশিয়ান এর বেতন বেশি। এক্ষেত্রে যারা বাংলাদেশ থেকে সেখানে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করছে তাদের বেতন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
সাধারণত বাংলাদেশি যে সমস্ত কর্মীরা সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে যাচ্ছে তাদের বেতন মূলত কাজের অভিজ্ঞতা এবং কাজের ধরন অনুযায়ী নির্ভর করে। তাই সেই অনুযায়ী বর্তমানে সিঙ্গাপুরে ইলেকট্রিশিয়ানের বেতন অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেকটাই বেশি এবং সুযোগ সুবিধা ও ভালো পাওয়া যায়।
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আসতে কতদিন লাগে
সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা মূলত নির্ভর করে কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে। সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা আবেদন করার আগে অবশ্যই প্রশিক্ষণ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং কাজের ভিসা আবেদন করার পরে মিনিমাম ৩ মাস থেকে ৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগে।
প্রথমত ভালো কোন একটি এজেন্সির মাধ্যমে বা কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তারপরে আপনি যেই কাজের উপর সিঙ্গাপুর যেতে চাচ্ছেন সেই কাজ অনুযায়ী ভিসা আবেদন করার পরে পরবর্তী তিন মাস অথবা ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরে ভিসা পাবেন বা এর থেকে বেশি সময়ও লাগতে পারে।
কুয়েত ভিসা গাইড: খরচ, প্রক্রিয়া, কোম্পানি ভিসা ও বেতন কাঠামো
কিভাবে দ্রুত ভিসা পাবেন:
- এজেন্সির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন
- কাগজপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথি সঠিক ভাবে সাবমিট করুন
- কাগজপত্রের কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকলে সমাধান করুন
- কাজের অভিজ্ঞতার সনদ সঠিকভাবে সাবমিট করুন
- কত মাসের প্রশিক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করুন
- কাজের অভিজ্ঞতার পয়েন্ট ভালো রাখুন
- লাস্ট তিন মাসের মেডিকেল রিপোর্ট দেখাতে হবে
এই বিষয়গুলো ঠিকঠাক থাকলে আপনারা খুব দ্রুতই সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পেয়ে যাবেন। তবে আপনাদের আরো কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি যে সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা দ্রুত পেতে হলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই যে কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজ শিখে নেওয়া উচিত। এতে করে সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা খুব দ্রুত পাওয়া যায় এবং দ্রুত সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া যায়।
সর্বশেষ কথা:
সিঙ্গাপুরের কাজের ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই দালাল থেকে সাবধান থাকবেন। বর্তমানে সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে অনেকটাই প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
তাই কোন এজেন্সিকে অথবা কোন এজেন্টকে অগ্রিমভাবে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য বা সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার জন্য কোন টাকা দিতে যাবেন না। এক্ষেত্রে যদি কোন টাকা পয়সা দিয়ে রাখেন তাহলে অবশ্যই যথাযথ প্রমাণ এবং এজেন্সি সম্পর্কে জেনে শুনে তারপরেই দিবেন।
রাশিয়ায় কাজের সুযোগ: ভিসা, আবেদন প্রক্রিয়া ও খরচের বিস্তারিত গাইড
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন