কনডম ব্যবহার করা আজকাল একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এক্ষেত্রে যৌন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে "কনডম ব্যবহার করা কি জায়েজ" এই প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন এবং বিশেষ করে কনডমের ব্যবহার গর্ভধারণ এবং যৌন সংক্রমণ থেকে কিভাবে সুরক্ষা দেয় এবং সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা জানো।
কনডমের ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত এবং প্রয়োজনীয় হতে পারে সেটা সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো কনডম ব্যবহার করাকে বিশেষ নিরাপদ এবং কার্যকর উপায় হিসেবে তারা পরামর্শ দিয়ে থাকে।
তবে, ইসলাম নিয়ে বা অন্যান্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কনডমের ব্যবহার নিয়ে অনেকেই বিতর্ক রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ধর্মীয় অনুসরণকারী একে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ মনে করছেন। তাহলে চলুন এ বিষয়টি নিয়ে পর্যায়ক্রমে দেখে নেওয়া যাক।
কনডম ব্যবহার করা কি জায়েজ
ইসলামে স্থায়ী গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ছাড়া অন্য অস্থায়ী পদ্ধতি যেমন ওষুধ বা কনডম ব্যবহার করা জায়েজ আছে। তবে, যদি দুজন অভিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তার স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে ও স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করা জায়েয আছে।
এছাড়াও অস্থায়ী পদ্ধতি যেগুলো স্বামী বা স্ত্রীর প্রজনন ক্ষমতাকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক সেগুলোও ইসলামের গ্রহণযোগ্যতা আছে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে গর্ব গর্ভনিরোধক পদ্ধতির ব্যবহার শরীয়তের বিধান অনুসারে নির্ধারিত হয়
এরপরেও যদি আপনার কনডম ব্যবহারের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনার স্থানীয় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত অথবা এই বিষয় নিয়ে বড় আলেম এবং মুফাসসিরের পরামর্শ নিন।
খারাপ মেয়ে চেনার কয়েকটি লক্ষণ দেখুন
কনডম ফ্লেভার কেন দেওয়া হয়?
কনডমের ফ্লেভার দেওয়ার মূল কারণ হলো যৌন মিলনকে আরো আরামদায়ক এবং আনন্দময় করে তোলা। ফ্লেভার যুক্ত কনডম ওরাল সেক্স করার সময় ব্যবহার করা হয়ে থাকে যাতে স্বাদে এবং গন্ধে মজাদার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারে।
ফ্লেভারযুক্ত কনডম এর মাধ্যমে মিষ্টি স্বাদ এবং ফলমূলের গন্ধ ব্যবহার করা হয় যা যৌন মিলনকে অতিরিক্ত আনন্দ এবং স্বাচ্ছন্দে মিলনে ভূমিকা রাখে। ফ্লেভার যুক্ত কনডম ব্যবহার করলে যৌন স্বাস্থ্য বা সুরক্ষা সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলে না এবং কার্যকারিতা বজায় রাখে।
কনডম এক প্যাকেটে কয়টা থাকে
কনডমের প্যাকেটের মধ্যে সাধারণত ৩টি, ১০ টি, ১২ টি কনডম থাকে। তবে, বিভিন্ন ব্যান্ড এবং প্যাকেজিং অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। কিছু কিছু প্যাকেটে ১ টি বা ৫ টি কনডম থাকে। Sensation Condoms এই কনডমের প্যাকেটে ৩ কনডম থাকে। বাংলাদেশের যে সমস্ত ছোট প্যাকেট রয়েছে সেগুলোতে ৩টি কনডম থাকে।
এছাড়া আরও বড় ধরনের প্যাকেট গুলো নিলে সেখানে ১২ টি পর্যন্ত কনডম থাকে। মূলত ছোট এবং বড় দুই ধরনের প্যাকেট পাওয়া যায় এক্ষেত্রে বড় সাইজের প্যাকেট গুলোতে বেশি সংখ্যক থাকে এগুলো মূলত ফার্মেসিতে আলাদা আলাদা ভাবে নেওয়া যায়।
ছেলেরা মেয়েদের কোন জিনিস বেশি পছন্দ করে
কনডম কি মুখে নেওয়া যায়
মুখে পুরোপুরি কনডম নেওয়া উচিত না। কনডমের উদ্দেশ্য হলো গর্ভধারণ প্রতিরোধ এবং যৌন রোগ থেকে রক্ষা দেওয়া। কনডমে ব্যবহারিত উপাদান গুলি গলা বা পেটের জন্য উপযুক্ত নয়, স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এটি মুখে না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে ওরাল সেক্স করার সময় কনডম ব্যবহার করা যেতে পারে যেহেতু এটি একটি মৌখিক যোগাযোগের সময় যৌন রোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে করে থাকে। এক্ষেত্রে, কনডম কে লিঙ্গ বা যোনি থেকে সুরক্ষিতভাবে সরাসরি ব্যবহার করতে হয়।
কনডম ব্যবহারে কি ক্ষতি হয়
কনডম ব্যবহারের কারণে তেমন কোনো গরু তোর ক্ষতি হয় না, তবে কিছু মানুষের জন্য কিছুটা ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। কনডম ব্যবহার করার কারণে কিছু সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে:
এলার্জি জাতীয় সমস্যা: কিছু মানুষের জন্য কনডম ব্যবহার করার কারণে লাটেক্স বা অন্যান্য উপকরণ যেমন এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে, চর্ম রোগের সমস্যা কিছুটা বেড়ে যেতে পারে, খসখসানি, বা ফুলে যেতে পারে।
অনুপযুক্ত কনডম ব্যবহার: কনডম যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে তাহলে যৌন সংক্রমণ বা গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকতে পারে।
অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব: কখনো কখনো কনডম ব্যবহারের কারণে অস্বস্তি ভাব হতে পারে অথবা যৌন মিলন কালে ব্যথা লাগতে পারে। তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক মাপের কনডম নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরী।
বিয়ের পর মেয়েদের কোন জিনিস বড় হয়ে যায়
এছাড়াও কনডম ব্যবহারের তেমন কোন গুরুতর ক্ষতি হয় না। তবে এই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যদি বেশি মাত্রায় হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অথবা অন্যান্য কনডম ব্যবহার করে দেখা উচিত।
কনডম ব্যবহার করলে কি বাচ্চা হয়
সঠিকভাবে যদি কনডম ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। কনডম ব্যবহারের প্রধান কাজ হল গর্ভধারণ এবং যৌন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা প্রদান করা। যদি কনডমটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা বা পরিধান না করা হয়ে থাকে অথবা কনডমটি যদি ছিড়ে অথবা ফেটে যায় তাহলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কনডম ব্যবহারের পরেও গর্ভধারণের হার মাত্র ২% যদি সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কনডম ব্যবহার করা এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। যদি সাবধানতার সাথে এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে বাচ্চা হয় না। কনডম যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
মেয়েদের কাম শক্তি বৃদ্ধির ঔষধ
কনডম ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা
কনডম ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:
উপকারিতা | অপকারিতা |
---|---|
গর্ভধারণ প্রতিরোধ: সঠিকভাবে ব্যবহার করলে গর্ভধারণের ঝুঁকি কমে যায়। | অ্যালার্জি: কনডমের উপাদান (যেমন ল্যাটেক্স) কিছু মানুষের জন্য অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। |
যৌন রোগের প্রতিরোধ: STIs (যেমন HIV, সিফিলিস, গনোরিয়া) থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। | পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: যৌন মিলনকালে অস্বস্তি বা ব্যথা হতে পারে। |
সহজ ব্যবহার: এটি সহজলভ্য এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য। | ছিড়ে যাওয়া: সঠিকভাবে পরিধান না করলে কনডম ছিঁড়ে যেতে পারে। |
প্রাকৃতিক পদ্ধতি: কনডম রাসায়নিক উপাদান মুক্ত এবং নিরাপদ। | ভুল ব্যবহারের ঝুঁকি: কনডমের কার্যকারিতা ভুলভাবে ব্যবহারের কারণে কমে যেতে পারে। |
কনডম ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা টেবিল তালিকার মাধ্যমে করে দেখানো হয়েছে এছাড়াও আরো অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে জানতে হলে পর্যায়ক্রমে আমাদের এই কনটেন্ট টি দেখতে থাকুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন