আপনি কি মিশরে কাজের ভিসা নিয়ে সেখানে কাজ করতে যাওয়ার কথা ভাবছেন? মিশরে বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ এবং অদক্ষ কর্মীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই কিভাবে মিশরে কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন এ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
২০২৫ সালে মিশরে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন। এবং মিশরের কাজের ভিসা খরচ কত এবং কিভাবে মিশরের কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন চলুন বিস্তারিত দেখে নেয়া যাক।
কিশোর কাজের ভিসা ২০২৫
মিশরে কাজ করতে হলে অবশ্যই বৈধভাবে সেখানে যেতে হবে। বৈধ ওয়ার্ক পারমিট থাকলেই মিশরে কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মিশরের সরকার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বিদেশি শ্রমিকদের ভিসা প্রদান করে থাকে। ক্ষেত্রে বাংলাদেশী এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনারা বৈধভাবে মিশরের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: কুয়েত ভিসা গাইড: খরচ, প্রক্রিয়া, কোম্পানি ভিসা ও বেতন কাঠামো
মিশর কাজের ভিসার ধরন
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা- ব্যবসায়ীদের জন্য এবং শ্রমিকদের জন্য
- বিজনেস ভিসা-শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের জন্য
- প্রেসিডেন্সি ভিসা-দীর্ঘমেয়াদি বসবাস করার জন্য
এ কয়েক ধরনের ভিসা নিয়ে মিশরে যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আপনারা যদি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সহজ ভাবে যেতে পারবেন কম খরচের মধ্যে।
মিশরে কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ২০২৫
বাংলাদেশের সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে মিশরের কাজের ভিসা পাবেন। এছাড়াও যদি আপনারা সরকারি মাধ্যমে যাতে চান তাহলে বুয়েসেলের মাধ্যমে আবেদন করে যেতে পারবেন।
- কাজের অফার: প্রথমে মিশরের কোন কোম্পানি হতে চাকরির অফার পেতে হবে।
- নথিপত্র প্রস্তুত করুন: পাসপোর্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রস্তুত রাখুন।
- দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করুন: আপনার প্রয়োজনীয় মতপত্র গুলো নিয়ে দূতাবাসের জমা দিন।
- ভিসা অনুমোদন: সমস্ত প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই শেষ হলেই আপনাকে ভিসা দিয়ে দিবে।
মিশর ভিসা কবে খুলবে ২০২৫
প্রত্যেক বছর মিশর সরকার নির্দিষ্ট কোটা অনুযায়ী কাজের ভিসার অনুমোদন দিয়ে থাকে। তাই ২০২৫ সালের নীতিমালা অনুযায়ী নেশা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
যারা ২০২৫ সালের শুরু থেকেই মিশর কাজের ভিসার জন্য আবেদন করা যাচ্ছে। ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে যারা মিশরের কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা চাইলে দেশের বাইরে থেকে এবং বাংলাদেশ থেকে আবেদন করে যেতে পারবেন।
মিশর কাজের বিচার দাম কত ২০২৫
মিশরের কাজের বিচার ধরন এবং ভিসা ফি এর উপর নির্ভর করে। মিশর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
সরকারিভাবে মিশর কাজের বিচার খরচ অনেকটাই কম হয়নি। এক্ষেত্রে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যেই মিশর কাজের ভিসা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
মিশন কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
- চাকরির অফার: একটি বৈধ চাকরির অফার লেটার পেতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ভিসা আবেদন ফর পূরণ করুন: মিশরের দূতাবাসে অথবা অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করুন।
- ভিসা ইন্টারভিউ: আবেদন জমা দেওয়ার পরে দূতাবাস থেকে ইন্টারভিউয়ের জন্য কল করা হবে।
- ভিসা অনুমোদন: সমস্ত তথ্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে ভীষণ মদন পেলে মিশরে কাজ করতে যেতে পারবেন।
সরকারিভাবে মিশর কাজের ভিসা ২০২৫
সরকারিভাবে মিশর কাজের বিচার আবেদন করতে হলে বোয়েসেলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মিশরের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অপেক্ষা করতে হবে।
আবেদন করার পরে নির্দিষ্ট নিয়োগ আসলে বুয়েসেল থেকে ফোন দিয়ে আপনাকে জানানো হবে পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী ভাইভাতে অংশগ্রহণ করার পরেই ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
আরো পড়ুন: দুবাই ওয়ার পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া এবং খরচ সহ বিস্তারিত
সরকারি ভাবে গেলে কি কি সুবিধা:
- মিশরের সরকারিভাবে গেলে কম খরচ লাগে।
- সরকারিভাবে বিশ্বস্ততার সাথে যাওয়া যায়।
- সরকারিভাবে যাওয়া অনেকটাই নিরাপদ।
- বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা ভালো
- কম খরচে যাওয়া যায়।
- কাজ নিয়ে টেনশন করা লাগেনা।
মিশর ভিসা আপডেট ২০২৫
দাদা প্রতিষ্ঠানে মিশর কাজের ভিসা সংক্রান্ত বেশ কিছু আপডেট এসেছে:
মিশর যেতে কত বছর বয়স লাগে?
মিশরে কাজের বিচার জন্য ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে আবেদন করা যাই। তবে নির্দিষ্ট কাদের ক্ষেত্রে এই সীমা কমবেশি হয়ে থাকে।
আরো বেশ কিছু কোম্পানি রয়েছে অভিজ্ঞ কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল করা হয়।
আরো পড়ুন: ব্রুনাই কাজের ভিসা সরকারিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
মিশর কাজের বেতন কত ২০২৫
- নির্বাচ শ্রমিক: ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৬৫ হাজার টাকা।
- ড্রাইভার: ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা।
- টেকনিশিয়ান: ৭৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা।
- স্বাস্থ্যকর্মী: ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
- সিকিউরিটি গার্ড: ষাট হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা
- কৃষি: ৬৫ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা।
- হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট কর্মী: ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
- মেকানিক: ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
- ইলেকট্রনিক: ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন