ইরাক কাজের ভিসা ২০২৫: কম খরচে যাওয়া ও ভালো বেতন!

    ইরাক কাজের ভিসা-ইরাকে বেতন কত


    আপনি কি ২০২৫ সালে ইরাকে কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? বর্তমানে ইরাকের সমৃদ্ধ তেল ও গ্যাস শিল্প ও নির্মাণ খাতের জন্য বৈদেশিক কর্মীদের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। সঠিক তথ্যগুলো না জেনে ইরাকে যাওয়া অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। 


    তাই আজকে আমরা এই পোস্টে ইরাকে কাজের ভিসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেওয়া যাক ইরাক কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। 


    কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়

    ইরাকের কাজের ভিসা পেতে হলে আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে:

    ১. ইরাকে চাকরির প্রস্তাব: প্রথমে ইরাকের কোন প্রতিষ্ঠান থেকে বা কোম্পানি থেকে চাকরির অফার লেটার পেতে হবে। তাহলে আপনি ইরাকে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।

    ২. কাজের চুক্তি: ইরাকের বিভিন্ন কোম্পানির সাথে বা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজের চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। সেখানে বেতন বোনাস এবং অন্যান্য বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে। 

    ৩. দূতাবাসে আবেদন:  ইরাকের দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দিন। 

    ৪. সরকারি মাধ্যমে: ইরাকের কাজের ভিসার জন্য সরকারি মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো হয় না। ইরাকের সাথে ভিসা ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলে সরকারি মাধ্যমে যাওয়া যাবে। 

    ৫. এজেন্সির মাধ্যমে: বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত কোন এজেন্সি ইরাকের কাজের ভিসা দেয় না। তবে বাংলাদেশের বাহিরে অন্যান্য দেশের মাধ্যমে ইরাকের কাজের ভিসা পাওয়া যায়। 


    এছাড়াও আপনার পরিচিত কোন যদি ব্যক্তি ইরাকে অবস্থান করে তাদের মাধ্যমে ইরাকের কাজের ভিসা নিতে পারবেন। বর্তমানে প্রায় অনেক মানুষ ইরাকে কাজের ভিসা নিয়ে বিভিন্ন শিল্প খাতে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে আপনারা অন্যান্য পদ্ধতিতে কিভাবে যাবেন এবং কত টাকা খরচ হবে বিস্তারিত দেখুন নিচে।


    আরো পড়ুন: কুয়েত ভিসা গাইড: খরচ, প্রক্রিয়া, কোম্পানি ভিসা ও বেতন কাঠামো 


    ইরাক ভিসা আপডেট ২০২৫

    ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ইরাকের ভিসা বাংলাদেশ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে যারা ইরাকে যাচ্ছে তারা সাধারণত দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে ইরাকে প্রবেশ করছে। অনেক বাংলাদেশী বর্তমানে ইরাকে কাজ করছে সেক্ষেত্রে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না।


    ২০২৫  সালে যারা ইরাকে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে বৈধ পদ্ধতিতে যাওয়ার। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাহিরে থেকে যদি দুবাই মালয়েশিয়া বা অন্যান্য দেশের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে অবশ্যই বৈধ উপায়ে প্রবেশ করুন। 


    ইরাক ভিসার দাম কত ২০২৫

    ইরাকের কাজের ভিসার খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, এক্ষেত্রে ভিসার ধরন, ভিসার মেয়াদ, নিয়োগকর্তা এবং এজেন্সি এর উপর। সাধারণ ভিসার জন্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। 


    এক্ষেত্রে আপনি যদি সরাসরি কোন কোম্পানির সাথে চুক্তি করে থাকেন তাহলে আরো কম খরচের মধ্যে ইরাকের কাজের ভিসা পাবেন। এক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকার মধ্যেও বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজের ভিসার জন্য ভিসা পাওয়া যায়।


    আরো পড়ুন: বাহরাইন কাজের ভিসা নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


    ইরাকে যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

    বাংলাদেশ থেকে ইরাকে যাওয়ার জন্য সরাসরি কোন বিমান যোগাযোগ নেই। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের মাধ্যমে ইরাকে যেতে ৪৫,০০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০০ টাকা লাগে। এক্ষেত্রে আপনি যদি বাংলাদেশের বাহিরে অন্যান্য দেশে থাকেন তাহলে সেই দেশ থেকে খরচ কত লাগবে তা নির্ভর করবে।


    ইরাক ভিসার জন্য আবেদন

    ইরাক কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে ইরাকের দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে তার নিচে তুলে ধরা হলো:

    • ইরাকের ভিসা আবেদন ফরম
    • ইরাকের কোম্পানি হতে জব অফার লেটার
    • পাসপোর্ট এর মূল কপি ও ফটোকপি
    • রিসেন্ট তোলা দুই কপি সাইজের ছবি
    • স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
    • নির্দিষ্ট কাজের উপর প্রশিক্ষণের সনদ


    প্রয়োজনীয় এই কাগজপত্র গুলো নিয়ে ইরাকের দূতাবাসে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসা ফি এবং অন্যান্য প্রয়োজনে তথ্য আপডেট গুলো অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখুন।


    আরো পড়ুন: ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে


    ইরাকে যেতে কত বছর বয়স লাগে

    ইরাকে কাজের ভিসার জন্য সাধারণত ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বয়সসীমা হওয়া লাগে। তবে এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য শিথিলতা রয়েছে। তাছাড়াও বিশেষ কিছু কোম্পানি রয়েছে বয়সের দিক দিয়ে বিবেচনা করে বেশি বয়সের মানুষদেরকেও সুযোগ দেওয়া হয়।


    ইরাকে কাজের বেতন কত

    ইরাকে একজন অভিজ্ঞ কর্মীর মাসিক বেতন ৫০০ থেকে ৭০০ মার্কিন ডলার (৫৫ হাজার টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকা) এছাড়াও ইরাকে কাজের বেতন নির্ভর করে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। অভিজ্ঞতা ভালো হলে বেতন আরো বেশি পরিমাণ পাওয়া যায়। 


    • রেস্টুরেন্ট কর্মীর বেতন: ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকা
    • ড্রাইভার: ৭৫ হাজার টাকা ৯০ হাজার টাকা। 
    • লেবার: ৪০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা। 


    এছাড়া ইরাকের আরো বেশ কিছু কোম্পানি রয়েছে সেগুলোর বেতন ভালো এবং কোম্পানির কাজ করার পাশাপাশি আপনারা অন্যান্য কাজগুলো করলে পার্ট টাইমে ভালো বেতন তোলা যায়। 


    ইরাকে কোন কাজের চাহিদা বেশি

    বর্তমানে ইরাকে তেল ও গ্যাস শিল্পে এবং নির্মাণ খাতে কাজের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। এই সেক্টরগুলোতে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইরাকে কাজ করার জন্য কর্মী আসছে।
    ইরাকের বিভিন্ন কোম্পানিও এই সেক্টরগুলোতে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে।


    স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা সহ আরো বেশ কিছু খাতে কাজের চাহিদা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে বা বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে যারা কর্মী হিসেবে সেখানে কাজে যেতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো কোন কাজ দেখে যাওয়া উচিত এতে করে বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা ভালো পাওয়া যায়।


    আরো পড়ুন: দুবাই ওয়ার পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া এবং খরচ সহ বিস্তারিত


    উপসংহার:

    ইরাকে কাজে যায় সাধারণত তারা বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি অনেক সময় দালালরা প্রতারণা করে থাকে। তাই আপনার বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তি ছাড়া কখনোই ইরাকে কাজে যাওয়া উচিত না। 


    অথবা ভাল কোন এজেন্সির হেল্প নিতে পারেন এক্ষেত্রে তারা আপনাকে অন্যান্য দেশের মাধ্যমে সঠিক এবং বৈধ উপায় ইরাকের কাজের ভিসা নিয়ে দিতে পারে। তবে এই প্রসেস কিন্তু একটু লং টাইম হতে পারে অথবা নাও হতে পারে তবে আপনারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে দেখতে পারেন। 


    আরো পড়ুন: ব্রুনাই কাজের ভিসা সরকারিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন