২০২৫ সালে আপনি কি ওমানে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছেন। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ওমানে ভিসা কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে ওমানের বিভিন্ন পেশায় বাংলাদেশের মানুষ বিগত বছরগুলো থেকেই কাজ করে আসছে।
তাই আপনারা যারা নতুন ২০২৫ সালে ওমানে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া দরকার। তাই আজকে আমরা এখানে ওমানে কাজের ভিসার সর্বশেষ তথ্য এবং ওমান কাজের ভিসা খরচ কত টাকা এবং ওমানে যেতে হলে কোন এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যাওয়া উচিত বিস্তারিত দেখুন।
ওমান কাজের ভিসা ২০২৫
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ওমান সরকার বাংলাদেশের জন্য সকল প্রকার ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। ওমান কাজের ভিসা এবং অন্যান্য ভিসা সাময়িকভাবে স্থগিত করে রেখেছে। অতিরিক্ত প্রবাসী এবং বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই ওমান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তাহলে কি ভাবছেন ওমানে কাজের ভিসা পাওয়া যাবে না? ভুল ভাবছেন ওমানে কাজের ভিসা পাওয়া যাবে তবে এক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশের বাইরে থেকে অন্যান্য দেশের মাধ্যমে নিতে হবে। কিভাবে আপনারা বাংলাদেশের বাহির থেকে অন্যান্য দেশের মাধ্যমে ও মানে কাজের ভিসা নিবেন দেখুন।
ওমান ভিসা পাওয়ার উপায়:
বর্তমানে ওমানে কাজের ভিসা বন্ধ থাকলেও ভবিষ্যতে খুব দ্রুতই খুলে দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে চাইলে আপনারা বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশের মাধ্যমে ওমানে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।
ভারতে অবস্থিত ওমান দূতাবাসের মাধ্যমে: বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যারা ওমানে এখন কাজের ভিসা নিয়ে যাচ্ছে তারা সাধারণত দিল্লি দূতাবাসের মাধ্যমে বা অন্যান্য দেশ হয়ে কাজের ভিসা সংগ্রহ করছে।
নেপালের মাধ্যমে: ওমানে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে হলে আপনারা চাইলে নেপাল থেকেও কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে খরচ কিছুটা কম পড়লেও ওমানের কাজের ভিসা পাওয়া যায়।
মালোশিয়া অথবা দুবাই থেকে: মালয়েশিয়া অথবা দুবাই থেকে ওমানের কাজের ভিসা পাওয়া যায়। খরচ কিছুটা বেশি হলেও ওমানের কাজের ভিসা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: বাহরাইন কাজের ভিসা নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ওমাণ ভিসা কবে খুলবে ২০২৫
বর্তমানে ওমানের ভিসা বন্ধ রয়েছে। তবে, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ২০২৫ সালের মার্চ অথবা এপ্রিল মাসে ওমানের ভিসা আংশিকভাবে চালু হতে পারে। তবে, এটি সম্পূর্ণটা নির্ভর করবে ওমর সরকারের সিদ্ধান্তের উপর।
বাংলাদেশের সাথে ওমানের প্রায় অনেকদিন যাবতই ওমান কাজের ভিসা এবং অন্যান্য ভিসা বন্ধ ছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে যে ২০২৫ সালের মধ্যেই ওমানের সাথে ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তারপর থেকে বাংলাদেশের মাধ্যমেই ওমানের কাজের ভিসা পাওয়া যাবে।
ওমান ভিসার দাম কত ২০২৫
ওমানের ভিসার খরচ ভিসার ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন। এছাড়াও আপনি ওমানের কোন দেশের মাধ্যমে কাজের ভিসা নিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করেই মূলত খরচ নির্ভর করে। বাংলাদেশ থেকে এই মুহূর্তে ওমানের কাজের ভিসা এবং অন্যান্য ভিসা বন্ধ রয়েছে।
ওমান কোন ভিসার দাম কত:
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
- স্টুডেন্ট ভিসা: ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা।
- ভিজিট ভিসা: ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
- ফ্যামিলি ভিসা: ৬০ হাজার টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা।
বাংলাদেশের বাইরে থেকে যদি ওমানের কাজের ভিসা করেন তাহলে খরচ পড়বে প্রায়ই ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাহিরে দিল্লি, নেপাল, মালেশিয়া, দুবাই ও অন্যান্য দেশের মাধ্যমে ওমানের ভিসা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
ওমান ভিসা আপডেট ২০২৫
বর্তমানে ওমানের ভিসা বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ওমান সরকারের সঙ্গে ভিসা চালু সম্পর্কে আলোচনা এখন পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যেই ওমানের সাথে ভিসা কার্যক্রম আগের মতই চালু হবে।
প্রমাণ যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
ওমানে যাওয়ার মোট খরচ ভিসা ফি, বিমান টিকিট, এজেন্সি খরচ সহ আরো অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের উপর নির্ভর করে। ওমানে যাওয়ার জন্য সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য মোট খরচ পড়ে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
সরকারিভাবে ওমানে যাওয়ার খরচ কিন্তু অনেকটাই কম। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ওমানের কাজের ভিসা এবং অন্যান্য ভিসা বন্ধ রয়েছে। তাই এখন সরকারিভাবে কম খরচের মধ্যে যাওয়া যাচ্ছে না এক্ষেত্রে নিজের খরচেই বেশি টাকা দিয়ে ওমানের কাজের ভিসা নিতে হচ্ছে।
ওমান কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
- সরকারি এজেন্সি করার সাথে যোগাযোগ করুন
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো প্রস্তুত রাখুন
- আবেদন ফ্রি প্রদান করুন
- আবেদনের স্ট্যাটাস নিয়মিত দেখুন
- ভিসা আসতে দেরি হলে এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করুন
এক্ষেত্রে যদি আপনারা দেশের বাহিরে থেকে যেতে চান তাহলে আরও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে যেমন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, দুই কপি ছবি, মেডিকেল রিপোর্ট সহ আরো কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য লাগে।
আরো পড়ুন: দুবাই ওয়ার পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া এবং খরচ সহ বিস্তারিত
ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে ওমানে মেকানিক্যাল এবং ইলেকট্রিক্যাল কাজের চাহিদা বেশি। এছাড়াও হসপিটালিটি এবং ড্রাইভিং খাতেও কাজের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে যারা বিভিন্ন দেশ থেকে কাজে আসছে তাদের এই সেক্টরগুলোতে বেশি নিয়োগ চলমান রয়েছে।
ওমানে সবসময় দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বরাবরই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো ভালো কাজের উপর অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ওমানে গিয়ে খুব সহজে এবং দ্রুত কাজ পাওয়া সম্ভব হয়।
ওমান কাজের বেতন কত ২০২৫
ওমানে বিভিন্ন পেশায় কাজের বেতন ভিন্ন। বর্তমানে বেশ কিছু কাজের বেতন নিম্নরূপ:
- কনস্ট্রাকশন কর্মী: ১ লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
- ইলেকট্রিশিয়ান: ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
- ড্রাইভার: ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
- কৃষি: ৬৫ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন: ব্রুনাই কাজের ভিসা সরকারিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ওমান কাজের ভিসা নিয়ে সতর্কতা:
উপসংহার:
ওমানে যদি কাজের ভিসা নিয়ে যেতেই চান তাহলে এখন থেকেই ভালো একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করুন এবং কবে নাগাদ ওমানের ভিসা খুলছে তৎক্ষণিকভাবেই তখন আবেদন সম্পন্ন করে রাখুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনে কাগজপত্র গুলো আগে থেকেই প্রস্তুত রাখুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন