কুয়েত ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ: ১০টি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান

    কুয়েত ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ


    কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় একটি দেশ যেখানে বাংলাদেশ থেকে বহু সংখ্যক কর্মী প্রতিনিয়ত এখানে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। বৈধ উপায়ে কুয়েতে যেতে হলে নির্ভরযোগ্য ভিসা এজেন্সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতারণা এড়ানোর জন্য সঠিক এজেন্সি নির্বাচন করা দরকার। 


    আপনি যদি সঠিক এজেন্সি নির্বাচন না করতে পারেন তাহলে কিন্তু বড় অংকের টাকা আপনার নষ্ট হতে পারে। তাই আজকে আমরা এই কন্টেন্টের মধ্যে কুয়েত ভিসা এজেন্সি সংক্রান্ত দশটি এজেন্সি উল্লেখ করব যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা বিশ্বস্ততার সাথে কুয়েতে যেতে পারবেন। 


    কুয়েত কি কি ভিসা চালু আছে

    বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ধরনের ভিসা সার্ভিস চালু আছে। এটাতে সরকার নিবন্ধিত এবং বিশ্বস্ত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন:
    • ওয়ার্ক পারমিট (কাজের ভিসা)
    • বিজনেস ভিসা
    • ডিপেনডেন্ট ভিসা
    • টুরিস্ট ভিসা
    • রেসিডেন্সি ভিসা
    বর্তমানে আপনারা যারা বিশ্বস্ততার সাথে কাজের ভিসা নিয়ে কুয়েতে যেতে চাচ্ছেন তারা এই কয়েক ধরনের ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। 

    কুয়েত ভিসা প্রসেসিং কতদিন লাগে?

    কুয়েত ভিসা প্রসেসিং সাধারণত ৩ থেকে ৬ সপ্তাহের অত সময় লাগে, তবে এটি নির্ভর করে আবেদনকারীর কাগজপত্র যাচাই ও কুয়েত সরকারের অনুমোদনের উপর। সমস্ত প্রক্রিয়া ঠিকঠাক থাকলে এই সময়ের মধ্যেই কুয়েতের ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়ে যায়। 

    এক্ষেত্রে যদি কোন কোন সময় দেরি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনার এজেন্সির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। এতে কারে কি কারনে দেরি হচ্ছে এবং এ প্রক্রিয়াটা স্লো হওয়ার কারণ কি এই বিষয়গুলো তাদের কাছ থেকে জেনে নেবেন। 


    বাংলাদেশে ১০টি বিশ্বস্ত কুয়েত ভিসা এজেন্সি

    বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেকোনো ধরনের ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য সঠিক এজেন্সি নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকে আমরা বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য দশটি বিশ্বস্ত কুয়েতের এজেন্সির তালিকা নিচে তুলে ধরলাম:

    এজেন্সির নামঠিকানা
    Rahman Overseas Ltd.মতিঝিল, ঢাকা
    Al-Madina Travel & Toursবনানী, ঢাকা
    Royal International Agencyচট্টগ্রাম
    Galaxy Visa Processing Centerউত্তরা, ঢাকা
    Kuwait Express Travelমিরপুর, ঢাকা
    Global Migration Ltd.নারায়ণগঞ্জ
    Future Vision Overseasকুমিল্লা
    Kuwait Gateway Agencyগুলশান, ঢাকা
    Bengal Overseas Ltd.রাজশাহী
    Dhaka International Travelsসিলেট

    এছাড়া বাংলাদেশ আরো অনেক এজেন্সি আছে তাদের মাধ্যমেও যেতে পারেন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের লাইসেন্স নম্বর আছে কি না এবং সরকার নিবন্ধিত কিনা এই সকল বিষয়গুলো যাচাই বাছাই করে তারপরে সিদ্ধান্ত নিবেন। 

    কুয়েত ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের জন্য ভিসা আবেদন করতে আপনাকে নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রদান করতে হবে:

    • বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)
    • কুয়েত থেকে স্পন্সর করা কোম্পানির অফার লেটার
    • মেডিকেল সার্টিফিকেট
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
    • পাসপোর্ট সাইজ ছবি
    • ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
    • নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতার প্রমাণ
    • ভাষাগত দক্ষতা (কোম্পানির রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী)

    এই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলোতে কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকলে কিন্তু ভিসা প্রসেসিং এর সময় বেশি লাগতে পারে। অনেক সময় কাগজপত্র ভুল থাকার কারণে কিন্তু রিসার্চ প্রসেসিং বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই সঠিক কাগজপত্র প্রদান করুন। 


    কুয়েত ভিসা এজেন্সি নির্বাচনের সময় করণীয়

    কুয়েত ভিসা এজেন্সি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। কুয়েতের কাজের ভিসা অথবা যে কোন ধরনের ভিসা নেওয়ার সময় প্রতারণার হাত থেকে বাঁচার জন্য নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করুন:
    • এজেন্সির লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন চেক করুন
    • অভিজ্ঞতা ও সফলতার হার যাচাই করুন
    • ক্লায়েন্টদের রিভিউ ও ফিডব্যাক দেখুন
    • বিনা রিসিটে টাকা প্রদান করবেন না

    বর্তমান সময়ে দালালদের খপ্পরে অনেক টাকা হারিয়েছে। তাই আপনারা যদি বিশ্বস্ত ভালো কোন এজেন্সি নির্বাচন করে যেতে পারেন তাহলে কম খরচে এবং বৈধ উপায়ে যেতে পারবেন। তাই চেষ্টা করুন অবশ্যই ভালো এবং বৈধ এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যাওয়ার। 

    কুয়েত ভিসা ফি ও অন্যান্য খরচ

    কুয়েত ভিসার জন্য গড়ে ৪৫,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে, যা নির্ভর করে ভিসার ধরন, এজেন্সির সার্ভিস ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের উপর। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে যখন আপনারা কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন তখন কিন্তু খরচ ভিন্ন হয়। 

    মূলত বাংলাদেশ এজেন্সি যারা রয়েছে তারা কাজের ভিসার জন্য আলাদাভাবে খরচ নির্ধারণ করে থাকে। এক্ষেত্রে সাধারণত কাজের পিছনে নেওয়ার ক্ষেত্রে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগে। মূলত এর মধ্যে বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য বিষয় থাকে। 


    উপসংহার

    কুয়েতের জন্য ভিসা পেতে সঠিক এজেন্সি নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে প্রতারণার সম্ভাবনা কম থাকে এবং সহজেই কুয়েতে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি যেকোনো ধরনের কাজের ভিসা অথবা কুয়েতের অন্যান্য ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সঠিক এজেন্সির মাধ্যমেই আবেদন করুন।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন