ডিভোর্স পেপার কিভাবে লিখতে হয় এবং বর্তমান সময়ে ডিভোর্স দেয়ার আসল নিয়ম গুলো কি কি এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো আমরা আজকের এই কন্টেন্টের মধ্যে আলোচনা করেছি। এখানে আপনারা জানতে পারবেন ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম এবং ডিভোর্স দিতে হলে কি কি লাগে, বিদেশ থেকে ডিভোর্স দেওয়া যায় কিনা এই বিষয়গুলো জেনে নিতে পারবেন।বর্তমান সময়ে অধিক পরিমাণ ডিভোর্স হচ্ছে। ডিভোর্স মূলত দুই পক্ষ থেকেই দেওয়া যায়। অনেকেই কোডের মাধ্যমে অথবা কাজী অফিসের মাধ্যমেও ডিভোর্স দিয়ে থাকে। তবে এটা সঠিক নিয়ম এবং এই ডিভোর্স পেপার কোথায় পাবেন এই সম্পর্কে জানেনা অনেকেই। তাই এখানে আমরা সঠিক নিয়মটি তুলে ধরেছি। সম্পূর্ণ কনটেন্টটি পড়লে আপনারা বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
তালাক দেওয়ার নিয়ম
ইসলামী শরিয়ত এবং দেশের আইন অনুযায়ী তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কের চূড়ান্ত ব্যবস্থা করে থাকে, তবে এটির সঠিক পদ্ধতি জানা জরুরী। ইসলামে তালাকের জন্য ৩ টি ধাপ রয়েছে। তালাক-এ-রেজাই, তালাক-এ-হাসান, এবং তালাক-এ-বিদাঈ। প্রতিটি পদ্ধতির নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে এবং এর মাধ্যমে ন্যায়সংগত ভাবে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ সম্ভব।
বাংলাদেশে মুসলিম বিবাহ এবং তালাক রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী, তালাক প্রদান করতে হলে নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। তালাক নামা কাজী অফিসে নথিভুক্ত করতে হয় এবং স্ত্রীর নিকট নোটিশ পাঠাতে হয়।
ইসলামে তালাক দেওয়ার জন্য সুস্পষ্ট নিয়ম রয়েছে, যা কুরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে নির্ধারিত। স্বামীকে পরিষ্কারভাবে “তালাক” শব্দ উচ্চারণ করতে হবে বা লিখিতভাবে জানাতে হবে। সুন্নতি পদ্ধতিতে, স্ত্রীকে পবিত্র অবস্থায় (হায়জমুক্ত) তালাক দিতে হয় এবং এরপর তিন মাস ইদ্দত পালন করতে হয়। যদি এই সময়ে পুনর্মিলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়, তবে তালাক কার্যকর হয়। একবারে তিন তালাক দেওয়া নিষিদ্ধ ও হারাম।
বিচ্ছেদের পর স্ত্রী চাইলে পুনরায় বিয়ে করতে পারেন বা স্বামী তাকে ফিরিয়ে নিতে পারেন, তবে তিন তালাকের ক্ষেত্রে ‘হালালা’ ছাড়া পুনর্মিলন সম্ভব নয়। আদালতের মাধ্যমে তালাক নিলে স্থানীয় আইন অনুসরণ করতে হয়। তালাকের সময় স্ত্রীকে দেনমোহর ও অধিকারসমূহ বুঝিয়ে দিতে হবে। এভাবে ইসলামে আইন অনুযায়ী তালাক সম্পন্ন করতে হয়।
তালাক দেওয়ার প্রক্রিয়া
- তালাক দেওয়ার আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আপসের চেষ্টা করা।
- স্ত্রীকে হায়জমুক্ত অবস্থায় (সুন্নতি পদ্ধতিতে) তালাক দিতে হয়।
- এই সময় স্বামী চাইলে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারেন।
- ইদ্দত শেষ হলে তালাক চূড়ান্ত হয়ে যায়।
- সরকার অনুমোদিত কাগজপত্র দাখিল করা।
- স্ত্রীকে দেনমোহর ও যাবতীয় অধিকার বুঝিয়ে দেওয়া।
- পুনরায় বিবাহ করতে চাইলে ‘হালালা’ প্রয়োজন হয়।
ডিভোর্স পেপার বা তালাকনামা লিখতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভালোভাবে উল্লেখ করতে হয়। ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম দেখুন:
- স্বামী ও স্ত্রীর সম্পূর্ণ নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
- তালাক ঘোষণার তারিখ ও কারণ
- তিন তালাক উচ্চারণের বিবরণ (যদি প্রযোজ্য হয়)
- স্ত্রীর ভরণপোষণ ও দেনমোহরের অবস্থান
- স্বাক্ষর ও সাক্ষীদের বিবরণ
- কাজী অফিসের অনুমোদন ও রেজিস্ট্রেশন নম্ব
তালাকনামা কাজী অফিস অথবা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। আইনগত সমস্যার এড়ানোর জন্য একজন আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এই বিষয়টি নোটিশ আকারে সেটি প্রেরণ করা লাগবে। ডাকযোগে অথবা চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে অপর পক্ষকে পাঠাতে হবে। ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে এবং ছবি সহ দেয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী ডিভোর্স পেপার লিখতে পারবেন।
ডিভোর্স দিতে কি লাগে
তালাক দিতে হলে নিচের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করা প্রয়োজন:
- জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ
- বিবাহ নিবন্ধন সনদ (নিকাহনামা)
- তালাক নোটিশের কপি
- আইনজীবীর পরামর্শ নিন (যদি প্রয়োজন হয়)
- কাজী অফিসের অনুমোদনপত্র
এছাড়া, তালাকের কারণে কোনো সম্পত্তির দাবি থাকলে তা কোর্টের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।
সবকিছু ফরম পূরণের পর আপনার সমস্যাটির কথা ফর্মে উল্লেখ করে সরকারি দায়িত্বরত ব্যক্তির সিগনেচার নিয়ে আপনার পৌরসভার চেয়ারম্যান অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হাতে নোটিশটি পাঠিয়ে দিবেন এবং সেই নোটিশ আপনার অপরপক্ষকে ৩০ দিনের মধ্যেই চেয়ারম্যান পাঠিয়ে দিবে তারপরে ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণ মিলনের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান সালিশ তৈরি করবেন।
তার পরেও যদি দুপক্ষের কোন মিলন করা সম্ভব না হয় তবে তালাক নোটিশ টি প্রদানের ৯০ দিনের মধ্যেই কার্যকর হয়ে যাবে এ ৯০ দিনের মধ্যে যাবতীয় খরচ স্বামীকে দিতে হবে। বাধ্যতামূলক ভাবে বলা হয়েছে। তারপরে সেটি বিয়ে রেজিস্ট্রি কাজী এর মাধ্যমে তালাক নিবন্ধন করে নিতে হবে।
স্ত্রী তালাক দেওয়ার নিয়ম
ইসলামে স্ত্রী নিজে তালাক দিতে পারে না, তবে খুলা তালাক বা শরিয়ত সম্মত বিচ্ছেদ করার অধিকার রয়েছে। খুলা তালাক বলতে বোঝানো হয়, যখন স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে তালাক চেয়ে নেয় এবং স্বামী সম্মতি দেয়।
এক্ষেত্রে স্ত্রী কাজী অফিসে আবেদন করতে পারেন এবং বিচারকের মাধ্যমে তালাক কার্যকর করা যায়। বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী, স্ত্রী যদি বিবাহ চুক্তিতে তালাকের অধিকার সংরক্ষিত করে তবে তিনি স্ত্রী নিজেই স্বামীকে তালাক দিতে পারেন।
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম
যদি কোনো ব্যক্তি বিদেশ থেকে স্ত্রীকে তালাক দিতে চান, তাকে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কার্যকর করতে হবে:
- নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে তালাকনামা প্রেরণ
- দেশের সংশ্লিষ্ট আইন অনুসরণ করে কাজী অফিসে নথিভুক্তকরণ।
- স্ত্রীকে যথাযথ নোটিশ পাঠানো।
- স্থানীয় আদালতে বৈধতা তালাক রেজিস্ট্রেশন করা।
বিদেশ থেকে পাঠানো তালাকনামা দেশে গ্রহণযোগ্য হতে হলে এটি ন্যায়সঙ্গত ও যথাযথ আইনি পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে।
আইনজীবীর এর মাধ্যমে আপনার ডিভোর্সের কারণ উল্লেখ করে একটি নোটিশ তৈরি করতে হবে। সেই নোটিশটি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আপনার দেশে মানে যেখানে অবস্থান করেন সেখানে থেকে নোটিশটি পাঠাতে হবে হবে। আপনার নিজস্ব স্বাক্ষর করা লাগবে। এবং সেটা আবার পুনরায় আইনজীবীর হাতে পেরন করা লাগবে।
সেটি আইনজীবী সম্পন্ন করার পরে উপজেলা চেয়ারম্যান অথবা কাউন্সিল পর্যায়ে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আপনার অপরপক্ষকে সেই নোটিশ দিয়ে দেয়া হবে। তারপরে কার্যক্রমগুলো যে ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন আপনার গার্জিয়ান সেই কাজ চালিয়ে নিতে পারবে। প্রয়োজনে আপনার গার্জিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবেন।
মেয়েরা কি ডিভোর্স দিতে পারে
মেয়েরা সরাসরি স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারে না তবে মেয়েরা খুলা তালাক চাইতে পারে। ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামীকে সম্মতি দিতে হবে। যদি স্বামী সম্মতি না দেন, তাহলে স্ত্রী আদালতের মাধ্যমে ডিভোর্সের অনুমতি পেতে পারেন।
শরিয়ত ও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, মেয়েরা বৈধ কারণে ডিভোর্স চাইতে পারে:
- স্বামীর নিষ্ঠুরতা বা নির্যাতন
- অর্থনৈতিক দায়িত্ব পালন না করা
- দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকা
- স্বামীর পরকীয়া
- যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া
- স্ত্রীকে ভরণপোষণ না দেওয়া
তবে ইসলামের আইন অনুযায়ী বা ইসলামের নীতি অনুযায়ী মহিলা পক্ষ কখনোই ছেলেপক্ষকে ডিভোর্স দিতে পারে না। এ ক্ষেত্রে মহিলা যদি দিয়ে থাকে তাহলে এই ডিভোর্স কার্যকর হবে না। শুধুমাত্র বাংলাদেশি নিয়ম অনুযায়ী এ বিষয়টি প্রযোজ্য তবে ইসলাম ধর্মে কখনোই মহিলাদেরকে ডিভোর্স দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেনি।
স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার সঠিক নিয়ম
একজন স্বামী যদি স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চান, তবে তাকে তিন মাস ইদ্দতকাল পালন করতে হবে। স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার সঠিক নিয়ম হলো:
- তালাক উচ্চারণ করা (লিখিত ও মৌখিক)
- স্ত্রীকে তালাকের লিখিত নোটিশ পাঠানো
- কাজী অফিসে তালাকনামা জমা দেওয়া
- তিন মাস ইদ্দতকাল অতিক্রম করা
- উকিলের মাধ্যমে তালাক রেজিস্ট্রেশন করা
তিন মাসের মধ্যে যদি স্বামী-স্ত্রী পুনরায় মিলিত হতে চান, তবে তারা পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন।
তবে বর্তমান নিয়ম আইন অনুযায়ী ছেলে-মেয়ে উভয়পক্ষই যে কোন মুহূর্তে ডিভোর্স দেয়ার ক্ষমতা রাখে। বর্তমান আইন অনুযায়ী এবং নিয়ম-নীতি অনুযায়ী যে কোন মুহূর্তেই ডিভোর্স দেওয়া হচ্ছে। তবে দুই পক্ষের কোন পক্ষ যদি সঠিকভাবে বিষয়টি না মানে তাহলে কোট পর্যায়ে অথবা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমেই সেটি নিষ্পত্তি করা হয়।
ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে
ডিভোর্স দেওয়ার খরচ বিভিন্ন বিষয়ে নির্ভর করে। সাধারণত কাজী অফিসে তালাক নিবন্ধনের ফি ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা হতে পারে। যদি আদালতের মাধ্যমে তালাক হয়, তবে আইনজীবীর ফি, মামলা পরিচালনার খরচসহ ১০,০০০-৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
তবে দুই পক্ষ যদি সবকিছু মিটমাট করে ঠিক করে নেয় তাহলে ছেলেপক্ষের মাধ্যমে টাকা কম বেশি করে তারা ডিভোর্সসম্পন্ন করে নিতে পারে। যদি ছেলের পক্ষে টাকা দিতে অসম্মতি দেখা দেয় অথবা ছেলেপক্ষ টাকা না দেয় তাহলে মেয়ে পক্ষ সরাসরি কোর্টের মাধ্যমেও টাকা আদায় করতে পারবে।
ছেলে পক্ষের মাধ্যমে যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কোর্টের মাধ্যমে কিস্তিতে কিস্তিতেও ডিভোর্সের টাকা প্রদান করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোর্টের জজ ডিভোর্স কারী ব্যক্তি কে নির্দিষ্ট সময়ে বেঁধে দেওয়া হবে এই সময়ের মধ্যেই ডিভোর্সের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে দিতে হয়।
তালাকের পর স্ত্রীর ভরণপোষণ
তালাকের পর স্ত্রী তিন মাস ইদ্দতকাল স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাবেন। এছাড়া, স্ত্রী মোহরানা এবং অন্যান্য আর্থিক অধিকার দাবি করতে পারবে। যদি স্ত্রীর সন্তান থাকে, তবে স্বামীকে সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে। এটি পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে নির্ধারিত হতে পারে।
যদি ব্যাংকে কোনো ঋণ অথবা লোন নেওয়া থাকে সেই বিষয়গুলো দেখভাল করা হবে। যদি স্বামী কর্তৃক নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে সেটি স্বামীর উপর দায়ভার নিতে হবে। যদি স্ত্রী কর্তৃক হয়ে থাকে তাহলে স্ত্রী কর্তৃক নিতে হবে। তার পরেও আপনার নিকটস্থ এলাকার চেয়ারম্যান দ্বারা বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়াই ভাল হবে। আগে থেকে তাই বিষয়টি ক্লিয়ার করে নিতে হবে।
কাজী অফিসে তালাকের নিয়ম
কাজী অফিসের মাধ্যমে তালাক নিবন্ধনের জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়:
- তালাকনামা তৈরি ও সাক্ষীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা
- স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাঠানো
- তালাকনামা কাজী অফিসে জমা দেওয়া
- আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তালাক বৈধ করা
তার পরেও আপনাকে কিছু মাধ্যমে অবলম্বন করা লাগতে পারে। চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হওয়া লাগতে পারে। অথবা সালিশ বৈঠক করে সমাধান করা লাগবে। এই সমস্ত বিষয় গুলা ফেস করা লাগতে পারে।
তবে এটা জেনে রাখুন যে কাজী অফিসে গিয়ে তালাক দেওয়া কোন বাধ্যতামূলক আইন নেই। যে কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে অথবা আপনার নিজস্ব পছন্দের কাজির কাছে তালাক কার্য সম্পাদন করতে পারবেন। যেখানে সুবিধা সেখানে গিয়ে তালাক দিতে পারবেন।
কাজী অফিসে ডিভোর্স
যদি তালাক কাজী অফিসে নিবন্ধিত না হয়, তবে সেটি বৈধ বলে গণ্য হবে না। তালাক নিশ্চিত করতে স্ত্রীকে নোটিশ প্রদান এবং যথাযথ রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক।
তবে মনে রাখবেন কাজী অফিসের মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকে ডিভোর্স কার্যসম্পাদন করার জন্য অবশ্যই আপনার নিকট আত্মীয় কোন ব্যক্তি হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার জমি জমা সহ যে সমস্ত দায়িত্বগুলো আপনার পার্সোনাল কেউ ম্যানেজ করে তাদের মাধ্যমেই এই বিষয়টি কাজী অফিসের মাধ্যমে আগাতে হবে।
ডিভোর্স ফরম এর ছবি
অনেকেই ডিভোর্স কার্যসম্পাদনের করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ফলো করে ডিভোর্স ফরম পূরণ করে। এই ক্ষেত্রে ডিভোর্স ফরম এর ছবি প্রয়োজন হয়। ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম সম্পর্কে সকলেই অবগত নয় তাই নিচের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ধারণা নিতে পারবেন। সেজন্য নিচে আমরা একটি ডিভোর্স পেপারের ফরম এর ছবি পূরণকৃত অবস্থায় তুলে দিয়েছি সেটা দেখে পূরণ করতে পারবেন।
ডিভোর্স পেপার ডাউনলোড
স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য নিচের দেওয়া এফিডেভিট অনুযায়ী সঠিকভাবে তথ্য গুলো পূরণ করতে হবে। পূরণ করার সময় উপরুক্ত কারণগুলো সঠিকভাবে উল্লেখ করে নিকটস্থ কাজী অফিসের মাধ্যমে অথবা কোটে গিয়ে সেটি দাখিল করতে হবে। তাহলে ডিভোর্স কার্য সম্পাদন করার জন্য পরবর্তী নোটিশ প্রদান করা হবে।ডিভোর্স পেপার ডাউনলোড করার জন্য নিচে আমরা লিংক দিয়ে দিয়েছি সেখান থেকে ডাউনলোড করুন।
উপসংহার
তালাক একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়। এটি অবশ্যই সঠিক আইনি ও নৈতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্পন্ন করা উচিত। তালাকের প্রক্রিয়ায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ের সম্মান, আর্থিক নিরাপত্তা এবং আইনি অধিকার নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।