আপনারা জেনে খুশি হবেন যে ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা ২০২৫ বাংলাদেশ থেকে এখন আবেদন করা যাচ্ছে বর্তমানে ইন্ডিয়া থেকে সমস্ত ভিসা কার্যক্রম এখন বাংলাদেশে চালু করেছে। এক্ষেত্রে ক্রোয়েশিয়ার যে কোন ধরনের ভিসা জব ভিসা অথবা ভিজিট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট সহ আরো যেকোনো ধরনের ক্রোয়েশিয়া ভিসা এখন বাংলাদেশ থেকেই করা যাবে।
গ্লোবাল ভিসা সার্ভিস এর মাধ্যমে আপনারা ক্রোয়েশিয়া সহ আরো আটটি দেশের ভিসা এখন থেকে করতে পারবেন। ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন এবং আবেদন করার জন্য কত টাকা লাগবে এবং ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হবে তা নিয়ে বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো।
ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা কিভাবে পাবেন এবং কত টাকা খরচ হবে এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো আমরা এই কন্টেন্টের মধ্যে তুলে ধরেছি। সম্পূর্ণ কনটেন্টটি যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েন এবং স্টেপ বাই স্টেপ প্রত্যেকটি টপিক যদি পড়েন তাহলে ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আপনারা পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পর্যায়ক্রমে ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।
ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা ২০২৫
২০২৫ সালে বাংলাদেশের ঢাকা থেকে কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার ভিসা করা যাচ্ছে এক্ষেত্রে দিল্লির মাধ্যমে আরো ক্রোয়েশিয়ার ভিসা করা লাগবে না। ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা নেওয়ার জন্য খরচ পড়ছে ১০ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে যদি সরকারি ভাবে আপনারা যেতে চান তাহলে খরচ পড়বে ৪ লক্ষ্য৫০হাজার টাকা। তবে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে জব ভিসা নিয়ে যেতে হলে কিন্তু খরচ বেশি পড়বে।
২০২৫ সালে যাওয়ার জন্য কোথায় কোন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করবেন এবং বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে আমরা আলোচনা করেছি এবং পর্যায়ক্রমে নতুন ভিসা সার্ভিস কিভাবে পাবেন এবং এই ভিসা নিতে হলে কি কি কাগজপত্র থাকা লাগবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আজকের এই কন্টেন্টে দেখুন।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?
ক্রোয়েশিয়াতে বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে বিগত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন মানুষজন সেখানে কাজে নিয়োজিত আছে। তাই নতুন বছর উপলক্ষে যারা ক্রয়েশিয়াতে জব ভিসা নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা চাইলে ক্রোয়েশিয়াতে যেতে পারবেন আগের থেকে সহজ উপায়ে। এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় ক্রোয়েশিয়াতে খরচ কম এবং বেতন আনুমানিক অনেকটাই বেশি পাওয়া যায়। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।
আপনাদেরকে জেনে রাখা উচিত যে ক্রোয়েশিয়া কিন্তু ভক্ত সেনজেন ভুক্ত দেশ নয়। কিন্তু এটি হলো একটি ইউরোপের একটি দেশ। বর্তমানে ক্রুশিয়াতে বাংলাদেশ থেকে প্রায় তিন বছর যাবত প্রচুর পরিমাণ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ক্রুশিয়াতে পাড়ি জমাচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়া তে যাওয়ার জন্য কিছুটা নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে তবে যারা বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়াতে গিয়েছে তারা অনেকেই বিভিন্ন দেশে চলে গিয়েছে এবং অনেকেই সে দেশে এখন পর্যন্ত অবস্থান করছে তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে যেতে চান তাহলে কিছুটা নিয়ম ফলো করতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ক্রোয়েশিয়াতে কিভাবে ভিসা পাবেন এবং কোন কোন ভাষা গুলো খোলা আছে।
সরকারিভাবে ভাষা শিখে ফ্রিতে জাপান যাওয়ার সুযোগ
ক্রোয়েশিয়াতে কিভাবে যাওয়া যায়
বিগত বছরগুলো থেকে মূলত ক্রোয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য কিন্তু নেপাল অথবা অন্যান্য দেশের মাধ্যমে যাওয়া লাগত। কিন্তু বর্তমানে এখন ঢাকা থেকে করতে পারবেন এর আগের বছরগুলোতে দিল্লির মাধ্যমে এম্বাসি ফেস করা লাগতো কিন্তু এখন সরাসরি ঢাকা অফিসের মাধ্যমে আপনাদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে ক্রোয়েশিয়াতে যেতে পারবেন।
বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া তে যাওয়ার জন্য কিন্তু ৪৫ দিন পর্যন্ত সেখানে কাজ করার সুযোগ থাকে এর মধ্যে যদি আপনি ভালো মানের এবং ভাল কোন কোম্পানিতে সুযোগ পেয়ে যান তাহলে পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ে আপনি একটি সেখানে কাজ করার সময় করে নিতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার টিআরসি বের হয়ে যাবে।
ক্রোয়েশিয়া হল একটি প্রজাতন্ত্র ইউরোপীয় একটি দেশ। বর্তমানে ক্রোয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন অনেকটাই সহজ। আসলে ক্রোয়েশিয়া হল একটি ইউরোপীয় দেশ তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ক্রোয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র কানাডা নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া নাগরিকদের জন্য ক্রোয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য কোন ভিসার প্রয়োজন নাই।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ
ক্রোয়েশিয়া 90 দিন পর্যন্ত থাকতে পারবে এবং ১৮০ জন্য থাকতে পারবে আপনি যদি অন্য কোন দেশের হয়ে থাকেন তবে ক্রোয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য আপনার জন্য কোন ভিসার প্রয়োজন নাই। বাংলাদেশীরা কিভাবে যাবেন সেই নিয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা আছে।
ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা তথ্য ২০২৫
বিগত বছরগুলো থেকে ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা নিতে হলে নেপালের মাধ্যমে করা লাগতো এক্ষেত্রে খরচ ২ লক্ষ টাকা বেশি লাগতো কিন্তু বর্তমানে ঢাকা থেকে জব ভিসা করা যাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের মানুষদের খরচ অনেকটাই কমে যাচ্ছে এখন থেকে ইন্ডিয়া অথবা নেপাল বা অন্যান্য দেশে গিয়ে ক্রোয়েশিয়ার জব ভিসা করা লাগবে না।
এ তো কোন এজেন্সি অথবা পরিচিত কোন ব্যক্তির মাধ্যমে সহজেই ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা আবেদন করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে ১২০ দিনের মধ্যেই ক্রোয়েশিয়ার জব ভিসা পেয়ে যাবেন।
ক্রোয়েশিয়ায় বাংলাদেশের যাওয়ার জন্য আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা লাগবে। এবং 6 মাস থেকে 1 বছর সেই পাসপোর্ট এর মেয়াদ অবশ্যই থাকতে হবে। এবং আপনার পাসপোর্ট এর সাথে অবশ্য একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভ্যালিড সার্টিফিকেট থাকতে হবে। সেই সাথে আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং বায়ো ডাটা সবকিছু ভ্যালিড হতে হবে। তাহলে আপনি ক্রোয়েশিয়ায় ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
ক্রোয়েশিয়া জব ভিসার জন্য আবেদন
বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ কেননা ক্রোয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য এখন বাংলাদেশে ঢাকা গ্লোবাল সার্ভিসের মাধ্যমেই আপনারা ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকলেই আপনারা খুব সহজে বিচার আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার ১২০ দিনের মধ্যেই আপনি ভিসা হাতে পাবেন।
তবে এক্ষেত্রে কাগজপত্র গুলো যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে এই সময়ের মধ্যে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারো আসতে হয়তো বা ১২০ দিন আরও বেশি সময় লাগতে পারে তবে সর্বোচ্চ ৫৫ অথবা উত্তর দিনের মধ্যেই কিন্তু ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা পাওয়া যায়।
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনার একটি বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে। সেই এজেন্সি তে ওয়ার্ক পারমিট আপনাকে ম্যানেজ করে দিবে। সেই এজেন্সির মাধ্যমে আপনার যাবতীয় কার্যক্রম এবং ভিসা ঠিক করে দিবে। এবং সেইসাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং আপনার একটি ভ্যালিড সার্টিফিকেট অবশ্যই থাকা লাগবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কিভাবে করবেন: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কিভাবে করবেন দেখেনিন | পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইন আবেদন
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2025
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে প্রথমে আপনাকে ক্রোয়েশিয়ার যে কোন একটি কোম্পানির মাধ্যমে জবের অফার লেটার পেতে হবে অথবা বাংলাদেশের সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনাদেরকে ভিসার জন্য যোগাযোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে তারা আপনাকে বাংলাদেশ থেকে ভালো মানের একটি কাজের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে ক্রোয়েশিয়ার জন্য একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করে দিবে।
এই ভাবে আপনারা ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে পারবেন বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এবং ড্রাইভিং পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের খুব সহজে তৈরি করে দিচ্ছে বাংলাদেশী সরকার সরকারি এজেন্সি গুলো। তবে এক্ষেত্রে আপনাদের কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে অবশ্যই নির্ধারিত কাজের উপর দক্ষতা থাকলে আপনি সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন এবং ভালো পরিমাণ বেতন তুলতে পারবেন।
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেওয়ার জন্য আপনারা দুই ভাবে নিতে পারবেন একটি হলো সরকারি মাধ্যমে আরেকটা হল বেসরকারি মাধ্যমে। তবে বেসরকারি মাধ্যমে অনেক ধরনের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ জড়িয়েতে থাকে। তাই প্রথম অবস্থায় আপনারা সরকারিভাবে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। অথবা সরকার নিবন্ধিত যে সমস্ত এজেন্সি গুলো রয়েছে সেখান থেকে আপনাদের ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
বিগত 3 বছর যাবৎ বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে শ্রমিকরা যাতায়াত করছে। ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং উপরের দেওয়া নিয়ম গুলো ফলো করতে হবে এবং আপনাকে সশরীরে গিয়ে সাবমিট করতে হবে। এবং বাংলাদেশ এম্বাসি এর মাধ্যমে পাসপোর্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং আপনাকে পাসপোর্ট উত্তোলন করতে হবে।
শেয়ার করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট এবং পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতার কাগজপত্র সহ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি পারেন বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স কি করে নিবেন। এবং আপনার এই কাজের প্রতি দক্ষতা সে কাজের স্ক্রিনটা অবশ্যই তৈরি করে নিবেন।
ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া সহজ এবং কম খরচে
ক্রোয়েশিয়ায় কাজের বেতন কত?
ক্রোয়েশিয়াতে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ফুল টাইম একজন শ্রমিকের সর্বোচ্চ বেতন ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ক্রোয়েশিয়ার বেশিরভাগ কোম্পানিগুলোতে যাতায়াত খরচ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে। দেশের বাহির থেকে কোন কর্মী যদি ক্রোয়েশিয়াতে কাজে নিয়োগ হয় তাহলে যাতায়াত খরচসহ বোনাস প্রদান করে থাকে।
ক্রোয়েশিয়া কি সেনজেন ভুক্ত একটি নয়। তারপরেও অন্যান্য দেশের মতো ক্রোয়েশিয়া উন্নত জীবনযাপন করা যায়। আপনারা যদি ক্রোয়েশিয়া অবস্থান করে থাকেন তাহলে আপনাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ক্রোয়েশিয়ার কাজের বেতন আরো বাড়তে থাকবে তাই অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা টা তৈরি করে সেই দেশে পাড়ি জমানো উচিত।
তবে যদি আপনি যেকোন নির্ধারিত কাজের উপর এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনাকে ক্রোয়েশিয়াতে আরো উন্নতমানের কাজ দেওয়া হবে অথবা বেতন বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় এবং ক্রোয়েশিয়াতে সবথেকে চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ভালো পরিমাণ বেতন পেয়ে থাকে।
ক্রোয়েশিয়া জব ভিসার দাম কত ২০২৫
ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা নিয়ে যেতে হলে খরচ পড়বে ১০ লাখ টাকা। ২০২৫ সালে কিন্তু আগের তুলনায় খরচ কিছুটা কম হয়েছে এক্ষেত্রে আপনারা যদি নেপালের মাধ্যমে ক্রোয়েশিয়া ভিসা করেন তাহলে কিন্তু দুই লাখ টাকা বেশি লাগবে কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ভিসা করলে ১০ লাখ টাকার মধ্যে জব ভিসা পাওয়া যাচ্ছে।
তবে আপনাদের কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনি যদি ভালো মানের কাজ শিখে যান তাহলে কিন্তু এই টাকার মধ্যে আপনারা তিন বছর মেয়াদী অথবা আরও বেশি মেয়েদের ভিসা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার বর্তমানে সেখানে থাকার পরে যদি কাজের আরো গতি ভালো থাকে তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে ভিসা সময় বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
তাই ক্রোয়েশিয়া ভিসার দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তাহলে ক্রোয়েশিয়া ভিসার দাম অনেকটাই বেশি হবে। কাজের ধরন এবং বেতন অনুযায়ী অনেক সময় ক্রোয়েশিয়ার ভিসা বিক্রি হয়ে থাকে। তাই আপনি যখন আপনার এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন তখন অনলাইন থেকে আপনার ভিসাটি যাচাই-বাছাই করে এবং ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে তারপরে আপনি ক্রোয়েশিয়াতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন।
ক্রোয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কম্পানি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ শেফ এর কাজগুলো বর্তমানে অধিক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যারা ক্রোয়েশিয়া যাচ্ছে তারা বর্তমানে সমস্ত কাজের পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে। তাছাড়াও ক্লিনার পদে লোক নিয়োগ হচ্ছে এবং সেই জায়গা থেকে আপনি ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে ঘন্টা বা মান্থলি ভাবে কাজ করা যায় তাইলে আপনি দুই ভাবে কাজ করতে পারবেন।
ক্রোয়েশিয়াতে চাহিদা সম্পন্ন কাজের লিস্ট
বর্তমানে কর্মী হিসেবে যারা ক্রোয়েশিয়াতে যাচ্ছে তারা রেস্টুরেন্ট কর্মী ইলেকট্রিক্যাল এবং ড্রাইভিং পেশায় ব্যক্তিদের সবথেকে চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে যারা কাজে যাচ্ছে তারা এই সমস্ত পেশার উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে ক্রোয়েশিয়াতে যাচ্ছে। তাই আপনি যদি মনে করেন ক্রোয়েশিয়াতে যদি সহজেই ভালো কোন জবে ঢুকতে চান তাহলে অবশ্যই ড্রাইভিং এবং ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ শিখে যেতে পারেন।
- মেকানিক্যাল
- ইলেকট্রিক্যাল
- কন্সট্রাকশন
- ডেলিভারি বয়
- ফুটপাকেজিং
- রোড কার ফিটিং
- ক্লিনিং
- আই ফিটিং
- টাইলস মিস্ত্রি
- গবাদি পশু পালন
- কৃষি
- মৎস্য
- ফুট কালেক্ট
- হোটেল
- রেস্টুরেন্ট
- মার্কেটিং
তবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে সমস্ত কর্মীগুলো আসে সাধারণত গার্মেন্টস এবং ফ্যাক্টরি কাজে সে সাথে কনস্ট্রাকশন ও অন্যান্য কাজগুলোতে নিয়োগ পেয়ে থাকে। যারা ক্রোয়েশিয়া তে জব ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা উপরোক্ত কাজগুলোর উপর অবশ্যই দক্ষতা নিয়ে তারপরেই ক্রোয়েশিয়াতে পাড়ি জমাতে হবে।
ক্রোয়েশিয়া ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগবে যা এজেন্সির মাধ্যমে আপনাকে জমা দিতে হবে। কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং প্রয়োজনীয় কি কি ফরম উত্তোলন করা লাগবে এই বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত আমরা এখানে লিস্ট তুলে ধরেছি। তাহলে চলুন দেখে ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা কিভাবে আবেদন করবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কি লাগে।
- ৬ মাস মেয়াদের বেশি ভ্যালিড পাসপোর্ট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- বাবা মায়ের আইডি কার্ডের ফটোকপি
- নিবন্ধন আইডি কার্ডের ফটোকপি
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত সনদ
- পূর্ববৎ কাজ করলে তার প্রমাণ
- ক্রোয়েশিয়াতে এর আগে যদি যে থাকেন সেটার প্রমাণ
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে সেই সাথে আপনাকে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ মিনিমাম দুই বছর পর্যন্ত থাকতে হবে তাহলে কিন্তু আপনার ক্রোয়েশিয়ার ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
বাংলাদেশ কোরিয়া ট্রেনিং সেন্টার | কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার
সৌদি আরবের নতুন কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত তথ্য
উপরুক্ত কাগজগুলোতে যদি কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে কিন্তু ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা সহ ক্রোয়েশিয়া অত্যান্ত ভিসা বাতিল হয়েজার সম্ভাবনা থাকবে এটাই চেষ্টা করবেন অবশ্যই জব ভিসা নেওয়ার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঠিক করে তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করা।
ক্রোয়েশিয়া তে জব কিভাবে খুজবেন
ক্রোয়েশিয়া তে জব খুজতে হলে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হতে পারে এবং কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে তারা বর্তমানে কোন কোন জবের অফার দিয়েছে সেই বিষয়ের প্রতি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং সেখানে যে আপনার ইমেইল এবং ফোন নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে অথবা আপনি একটা সিমের মাধ্যমে সাবমিট করে দিয়ে আসবেন পরবর্তীতে আপনাকে মেইলের মাধ্যমে এবং ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে। কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
- পরিচিত কোন ব্যক্তির মাধ্যমে
- ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে
- লিংকিন অথবা ফেসবুকের মাধ্যমে
- অন্যান্য দেশের দূতাবাসে গিয়ে
- বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে
- ক্রোয়েশিয়ার জব সাইট গুলোতে
ওপরের তথ্যগুলো অনুযায়ী আপনারা ক্রোয়েশিয়ার জব খুঁজতে পারেন এক্ষেত্রে সরাসরি আপনারা চাইলে ক্রোয়েশিয়ার জব রিলেটেড ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে অথবা আরো বেশ কিছু মাধ্যম রয়েছে বা ফোরাম রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে খুঁজে দেখতে পারেন।
ক্রোয়েশিয়ায় যেতে কত দিন লাগে
ক্রোয়েশিয়ায় যেতে হলে আপনাকে মিনিমাম চারটা থেকে পাঁচটার সময় দিতে হবে। অর্থাৎ এই চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই আপনার ক্রোয়েশিয়ার ভিসা হয়ে যাবে। যদি আপনি কোরোসিয়া ভিসা পেয়ে যান তাহলে সে দেশে কাজ পেতে হলে আপনাকে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হবে না কারণ বর্তমানে সে দেশে কাজের চাহিদা অনেকটাই বেশি রয়েছে। তাই যদিও ভিসা পেতে কিছুটা দেরি হলেও একটু ধৈর্য ধরুন।
ক্রোয়েশিয়াতে বাংলাদেশ হতে ভিসা পাওয়া যাচ্ছে
অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়ার কি ভিসা চালু আছে। উত্তর হল অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে আপনি ক্রোয়েশিয়ার ভিসা পাবেন এবং এটি চালু আছে। তাই আপনি চাইলে বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়ার ভিসা নিয়ে ক্রোয়েশিয়াতে পাড়ি জমাতে পারবেন ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া খুব একটা কঠিন নয়। অনেকটাই সহজ এবং কোন ঝামেলা ছাড়াই ভিসা পাওয়া যাবে।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি | সৌদি আরবে জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বর্তমানে বাংলাদেশের ঢাকা থেকে কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার ভিসা করা যাচ্ছে তাই এক্ষেত্রে আপনারা বিভিন্ন দালালের আশেপাশে না গিয়ে সরাসরি ক্রোয়েশিয়া দূতাবাসে গিয়ে অথবা বাংলাদেশ গ্লোবাল ভিসা সার্ভিসের মাধ্যমে গিয়ে আপনারা বিস্তারিত তথ্যগুলো জেনে নিতে পারেন।