লক্ষ্য করলে দেখা যায় বাচ্চাদের সর্দি কাশি হলেই ওষুধ খাওয়ায়ে থাকে। বাচ্চাদের সর্দি কাশি হলেই যে ওষুধ খাওয়াতে হবে তা কিন্তু না এক্ষেত্রে শিশুর জন্য কিন্তু আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অনেকেই আছে যারা কিনা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বাচ্চাদের সর্দি কাশি হলে ওষুধ দেওয়া হয়। ঠান্ডা জনিত কোন সমস্যা দেখলেই যে ওষুধ সেবন করাতে হবে তা কিন্তু না। বাচ্চাদের সর্দি কাশিদের ওষুধের নাম জানার আগে কি কি সমস্যা হয় এই ওষুধগুলো খেলে তা আগে দেখুন।
আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কাশির সিরাপ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মারাত্মক কারণ হতে পারে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে। বাচ্চার শরীরে খিচুনি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, কিডনি এবং লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
তাই শিশুদের ক্ষেত্রে যদি সর্দি কাশির ওষুধ বেশি পরিমাণে সেবন করা হয় এবং কোন ধরনের প্রেসক্রিপশন ছাড়া যদি সেবন করে এক্ষেত্রে কিন্তু এগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে। তবে এক্ষেত্রে কি করবেন এবং কোন ওষুধগুলো খাওয়া উচিত যদি এত ধরনের সমস্যাই হয়ে থাকে তাহলে আমাদের কি করতে হবে।
বাচ্চাদের সর্দি কাশির ঔষধের নাম
বা বাচ্চাদের সর্দি কাশি হলে ভেষজ উপাদান জাতীয় ওষুধ বা সিরাপ খাওয়ানো। শিশুদের সর্দি কাশির জন্য বেছে নিতে পারেন গরম মসলা, মধু, কালিজিরা, তুলসী পাতা, মশলা চা, বাসক পাতার রস, এগুলো। বাচ্চাদের জন্য যখন সিরাপ কিনবেন তখন এই উপাদান গুলোর দ্বারা যে সিরাপ তৈরি হয় সেগুলো সর্দি কাশির জন্য খাওয়ানো যাবে।
আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দুই বছরের জন্য শিশুদের ঔষধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কানাডায় কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে ছয় বছর পর্যন্ত কোন ধরনের প্রেসক্রিপশন ছাড়া শিশুদের ওষুধ বা সর্দি-কাশির ওষুধ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
- রেমোকফ
- এবেক্স
- তুসকা প্লাস
- ই- কফ
- এমব্রক্স
- এডোলেফ
- এডোভাস
- মধুভাস
- টোফেন
- টোটি ফেন
- বাসক
- ফেক্সো
- রিকফ
- কিটোমার
- প্রসমা
বাচ্চা সর্দি কাশি যদি মারাত্মকভাবে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এই ওষুধগুলো খাওয়াতে পারেন, অবশ্যই ওষুধের উপকরণ গুলো দেখে তারপরে বাচ্চাকে সেবন করাবেন এতে করে বাচ্চার সমস্যা হবে না। সাধারণত এই ঔষধ গুলো খাওয়ালে বাচ্চাদের সর্দি কাশির প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। এই ওষুধগুলো বাচ্চাদের খাওয়ালে সাইড ইফেক্ট তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
বাচ্চাদের সর্দি কাশি হলে কিন্তু ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে দূরে রাখতে হবে, বাচ্চাকে সর্বক্ষণ নজরে রাখুন এবং মধু গরম, পানি, দুধ, এগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। বাচ্চার যদি অতিরিক্ত হাড়ে কাশি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই সরিষার তেল এবং রসুন গরম করে বাচ্চার গলায় হালকা করে লাগিয়ে রাখুন এতে করে বাচ্চার কাশি দ্রুত কমে যাবে।