বর্তমানে বাংলাদেশ থেকেও কিন্তু ইতালিতে যাওয়া যাচ্ছে এক্ষেত্রে যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে যেতে পারেন তাহলে কিন্তু খরচ একটু বেশিই লাগবে। গ্লোবাল ভিসা সার্ভিস সেন্টার এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যায় এছাড়া যদি আপনি দুবাইয়ের দীর্ঘ দুই বছর পর্যন্ত সেখানে বসবাস করেন তাহলে কিন্তু দুবাই থেকেও যাওয়া সহজ।
বর্তমানে দুবাইয়ে প্রচুর শ্রমিক রয়েছে তাই দিন দিন কাজের চাহিদা অনেকটাই কমে আসছে। দুবাইয়ে বর্তমানে নতুন কাজের অনেকটাই অভাব এবং এখানে বেশি কাজ করার পরেও ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়া সম্ভব হয় না। তাই অনেকেই চিন্তা-ভাবনা করে থাকে যে দুবাই থাকা অবস্থায় ইউরোপের দেশে অথবা ইতালিসহ অন্য রাষ্ট্রে কিভাবে যাওয়া যায়। তাই আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে এই বিষয়টি তুলে ধরেছি কিভাবে আপনারা দুবাই থেকে ইতালি সহ অন্যান্য শহরে ঢুকতে পারবেন।
বর্তমানে দুবাই থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্রের যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তবে তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী এবং আপনার অবস্থা অনুযায়ী আপনিও চাইলে যেতে পারবেন দুবাই থেকে বিভিন্ন জায়গায় তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে তারপরেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা সম্পূর্ণ বৈধভাবে যাওয়ার একটি প্রক্রিয়া কখনোই অবৈধপথে এসব দেশগুলোতে পাড়ি দেবেন না এক্ষেত্রে আপনার বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দুবাইয়ে এক বছর অবস্থান করা লাগবে। তারপরেই আপনি ইতালি যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কারণ দুবাই থেকে যদি কেউ অন্য কোন দেশে যেতে চাই তাহলে দুবাইতে তাদেরকে দুই বছরের মধ্যে এক বছর অবশ্যই অবস্থান করা লাগবে। তারপরেই আপনি অন্যান্য দেশে ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসা সহ অন্যান্য ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন তার আগে কখনোই যাওয়া সম্ভব নয়।
দুবাই থেকে যদি যেতে চান তাহলে দুবাই অবস্থিত ইতালি দূতাবাসে গিয়ে আপনার সার্টিফিকেট এবং আপনার প্রয়োজনে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রগুলো নিয়ে আপনি নির্ধারিত একটি কাজের উপর তাদের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী দুবাই থেকে ইতালিতে কাজের ভিসা অথবা যেকোনো ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।
কয়েকটি প্রসেস আপনাকে অবলম্বন করতে হবে। তা হল প্রথমে আপনাকে দুবাই টুরিস্ট ভিসা অথবা অন্য কোনো কাজের ভিসা নিয়ে সেখানে পাড়ি জমাতে হবে। আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সেখানে পাড়ি জমান তাহলে সেটি কনভার্ট করে নিতে হবে কাজের ভিসায়। তারপরেই আপনাকে এক বছর সেখানে অবস্থান করার পরেই আপনি ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন সেই ক্ষেত্রে ইতালি কয়েকটি ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে সেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনাকে আবেদন করতে হবে।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?
যেমন ইটালিতে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভিসা আছে বিজনেস ভিসা আর অন্যটি হচ্ছে নরমাল জব আরেকটা এডুকেশনাল পারসন দের জন্য। এই ক্ষেত্রে আপনি নর্মাল ভিসা বা কাজের ভিসা নিয়ে সেখানে পাড়ি দিতে পারেন এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো রিকোয়ারমেন্ট লাগেনা এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অথবা কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনাকে নর্মাল কোন কাজ নিয়ে সেখানে যেতে হবে। আপনি যদি হাই ক্যাটাগরির কাজ নিয়ে সেখানে যেতে চান তাহলে আপনার ভিসা অ্যাপ্রভাল পাবেন না।
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার এজেন্সি
এক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি অথবা ইন্ডিয়ান বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে যারা ইতালিতে কাজের ভিসা দিয়ে ইতালিতে পাঠাচ্ছে এক্ষেত্রে আপনারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা চাইলে আপনি সরাসরি ইতালি দূতাবাস হতে আপনারা যোগাযোগ করে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং তাদের কাছে গেলেই ইতালিতে বর্তমানে কোন ভিসাই লোক নিয়োগ দিচ্ছে সে বিষয়েও আপনারা অবগত হতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী আপনারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?
এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হলে অথবা আপনার দূতাবাস থেকে আবেদন করতে হলে তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে আপনি যেকোন ভিসা পেতে হলে অবশ্যই তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনাকে আবেদন করতে হবে যেমন অবশ্যই দুবাইতে এক বছর অবস্থান করা লাগবে পাশাপাশি অন্যান্য কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন আছে সেগুলো কি কি লাগবে তা আমরা নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব।
দুবাই থেকে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়া আগের তুলনায় অনেকটাই সহজ। দুবাই দুই বছর থাকার পরে দুবাই অবস্থিত ইতালি দূতাবাসে গিয়ে ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া দুবাই অবস্থিত অনেক এজেন্সি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই সেখান থেকে একটি ভালো মানের কাজ নিয়ে ইতালিতে যাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক মানুষ দুবাই থেকে ইতালিতে কাজের ভিসা নিয়ে যাচ্ছে।
আপনি যদি দুবাই থেকে ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চান তাহলে আপনাকে ইতালির যে সমস্ত জব ওয়েবসাইটগুলো আছে সেই সমস্ত সাইটগুলোতে আপনার একটি সিভি তৈরি করে সেখানে আবেদন করতে হবে। অবশ্যই তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আবেদন করবেন আবেদন করার পরে আপনার ফোন নাম্বারে অথবা ই-মেইল এর মাধ্যমে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে যোগাযোগ করে আপনি যদি আপনার রিকোয়ারমেন্ট ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনার ভিসা তৈরি প্রসেস তারাই করে দিবে এবং এই ইনভাইটেশন লেটার নিয়ে আপনারা দুবাইয়ের ইতালি দূতাবাস হতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
দুবাই থেকে ইতালি যেতে খরচ কত
বর্তমানে দুবাই থেকে ইতালিতে যাওয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এক্ষেত্রে প্রথমত আপনাকে অবশ্যই দুবাইয়ে দুই বছর অবস্থান করতে হবে তারপরে আপনার প্রয়োজনেও কাগজপত্র সবকিছু রেডি থাকলে আপনারা দুবাই থেকে ইতালির দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর দক্ষতা দেখিয়ে আপনারা খুব সহজেই দুবাই থেকে ইতালিতে যেতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে এজেন্সির খরচ কিন্তু বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে কোন কোন এজেন্সিতে বিমান ভাড়া সহ যাতায়াতের খরচ বহন করে থাকে পাশাপাশি হোটেল খরচ আনুষঙ্গিক যাবতীয় খরচ বহন করে থাকে তাই এই বিষয়ে অবশ্যই আপনার কোম্পানির সঙ্গে অথবা আপনার এজেন্সির সঙ্গে আগে থেকে কথা বলে নিবেন। পাশাপাশি আপনাকে এটাও জেনে নিতে হবে যে আপনি কোন কাজের প্রতি যাচ্ছেন এবং কত টাকা বেতন এবং কত ঘন্টা ডিউটি দিবে এবং আপনি কোথায় থাকবেন কোথায় থাকবেন এ বিষয়টিও তাদের কাছে নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন ও প্রবাসী লোন পদ্ধতি
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য আবেদন
অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্য যেভাবে ভিসা আবেদন করেন ঠিক সেই ভাবে আপনাকে ভিসা আবেদন করতে হবে। আপনি যদি দুবাইতে কোন কোম্পানিতে কাজ করেন সেই কোম্পানিতে কাজ করার কারণে যে একটা অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছে সে অভিজ্ঞতা ব্যবহার করেও কিন্তু খুব সহজেই দুবাই থেকেই তালিতে যাওয়া যায়। এ কারণে আপনার যে কোম্পানিতে আছেন সেই কোম্পানির একটি বেতনের রশিদ অথবা কাজের দক্ষতা প্রমাণ থাকলে আরো সহজ হবে।
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য আপনাকে বাংলাদেশি বিভিন্ন এজেন্সি অথবা ইন্ডিয়ান এজেন্সি রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় কর্মের মধ্যে আপনার এই প্রমাণগুলো আগে থেকে সংগ্রহ করতে হবে সেই সাথে কি কি রিকোয়ারমেন্ট লাগবে তা আমরা বিস্তারিতভাবে নিচে লিস্ট আকারে তুলে ধরব সেই অনুযায়ী আপনারা আবেদন করতে পারবেন।
দুবাইতে ইতালি যাওয়ার রিকোয়ারমেন্ট
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে যেমন আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং আপনার পাসপোর্টসহ কয়েকটি বিষয়ে তারা দেখভাল করবে পাশাপাশি আপনার কি কি কাজের প্রতি দক্ষতা আছে এবং আপনি কি কাজে সেখানে এপ্লাই করছেন সেই বিষয়টিও তারা পর্যবেক্ষণ করবে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি কাগজপত্র লাগে।
বাংলাদেশ কোরিয়া ট্রেনিং সেন্টার | কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- 6 মাস মেয়াদী একটিভেট পাসপোর্ট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি
- এর আগে কোথায় ট্র্যাভেল করেছেন তার প্রমাণ
- বর্তমানে কোন কাজের নিয়োজিত আছেন তার প্রমান
- দুবাইতে কতদিন অবস্থান করছেন পাসপোর্টের একটি কপি
- কোন কাজের প্রতি দক্ষতা আছে তার একটি বেতন রশিদ
আপনি যদি দুবাইয়ে অবৈধভাবে অবস্থান করেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু ইতালিতে যেতে পারবেন না প্রথমত আপনাকে দুবাইতে। বৈধ হতে হবে তারপরে যদি দুই বছর সেখানে কাজ করতে পারেন তারপরে আপনি ইতালিতে যেতে পারবেন।
এই সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে দুবাইয়ের যে কোন এজেন্সির মাধ্যমে গেলেই আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন অথবা ইতালি দূতাবাস হতে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে অবশ্যই এ সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে হবে এবং সেইসাথে অবশ্যই এক বছর আপনাকে দুবাইয়ে অবস্থান করার পরেই আবেদন করতে পারবেন।