আজকে আমরা কথা বলবো বেলিজ কাজের ভিসা নিয়ে। কিভাবে আপনারা বেলিজের কাজের ভিসা পাবেন এবং কত টাকা খরচ হবে এবং আবেদন প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন করবেন এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এই কনটেন্টে মাধ্যমে আলোচনা করবো আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ কনটেন্টটি পড়লে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক বেলিজ কাজের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
মধ্য আমেরিকার পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি দেশ। জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য মতে বর্তমানে বেলিজে বর্তমান জনসংখ্যা হচ্ছে 380, 323। বর্তমানে এই শহরে প্রতিনিয়ত মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে কারণ এখান থেকে বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বর্তমানের সাথে মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় বিভিন্ন দেশ সহ আমেরিকা এবং স্ট্রং ভাবে তাদের সম্পর্ক রয়েছে। এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্যই অনেকে সেখানে কাজের ভিসা নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে।
বেলিজ কেন যাবেন
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক বেলিজে কেন যাবেন। বর্তমানে বেলিজের বিভিন্ন প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ অর্থনীতির রয়েছে মূলত পেট্রোলিয়াম, অপরিশোধিত তেল রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল তারা এবং কৃষিকাজে ব্যাপকভাবে তারা দক্ষ এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পত্তি পর্যটন হিসেবে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তারা। তাই বর্তমানে বেলিজে বিভিন্ন কাজের সুযোগ তৈরি হয় মানুষজন ও সেখানে পাড়ি জমাচ্ছে।
বেলিজ কাজের ভিসা
বর্তমানে বেলিজ বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কারণ ব্যালেন্স বর্তমানে বাণিজ্য করছে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দেশের সঙ্গে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ রয়েছে এ সমস্ত দেশগুলোতে গার্মেন্টসহ কৃষি এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ের প্রতি তারা বিজনেস পরিচালনা করছে এই জন্য প্রতিনিয়ত বেলিজে কাজের ভিসা তৈরি হচ্ছে। আর অন্যান্য দেশের মতোই বেলিজে কাজের বেতন অনেকটাই বেশি।
বেলিজ এ কাজের বেতন কত
বেলিজ এ বর্তমানে একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন 1500 ডলার থেকে শুরু করে 2000 ডলার পর্যন্ত এখানে দিনে আট ঘন্টা ডিউটি তে কাজ করা হয়ে থাকে পাশাপাশি ওভার টাইম সহ 12 ঘন্টা কাজ করার অনুমতি আছে সেই সাথে কেউ যদি ওভারটাইমে আরো সময় কাজ করতে চাই সে ক্ষেত্রে তার কোনো সমস্যা হবে না।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?
তাছাড়াও বেলিজে কাজ করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির সাথে বিভিন্ন ধরনের চুক্তি হয়ে থাকে যেমন বেতনের পাশাপাশি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এবং দুই বছরের মতো দেশে যাতায়াতসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ বহন করা থাকে তাই বেলিজ কাজে যাওয়ার আগে অবশ্যই কোম্পানির সাথে বিষয়টা ক্লিয়ার করে নিবেন কত টাকা বেতন এবং কত ঘন্টা ডিউটি সহ ওভারটাইমের কত প্রদান করবে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে হবে।
ভিসার জন্য আবেদন | Belize work permit application
বেলিজ কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে। বাংলাদেশ থেকে আবেদন করা এখন পর্যন্ত সম্ভব না তবে আপনি চাইলে বোয়েসেল অথবা বিএমইটির সঙ্গে যোগাযোগ করে ডেলি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন এবং কোন প্রসেসর যাবেন তার আশেপাশের সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে পারে। আর আপনি যদি অন্যান্য দেশের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে যেতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট লাগবে।
তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে না জানালেও বাংলাদেশের মানুষ জন সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক দেশ থেকে তারা সচারাচার দিল্লি এম্বাসির মাধ্যমেই বেলিজ কাজের ভিসা নিয়ে থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই দিল্লি এম্বাসিতে সরাসরি গিয়ে নিজেকে আবেদন করতে হবে পাশাপাশি যদি আপনি দালালের মাধ্যমে করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্বস্ত কোন দালাল বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই যেতে হবে তা না হলে আপনি বেলিজের কাজের ভিসা পাবেন না।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?
বেলিজ ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বেলিজে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট আছে কারণ সে দেশে কাজ করার জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। যেমন আপনি যদি কোথাও কাজের অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে তা ছাড়াও আপনি যদি সরকারিভাবে কোনো ট্রেনিং প্রাপ্ত হন সেই বিষয়টিও তাদেরকে দেখাতে হবে।
- ছয় মাসের পাসপোর্ট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা এর প্রমাণ
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি
- ইংলিশ কোর্স এর একটি সার্টিফিকেট
- এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
উপরোক্ত কাগজপত্র নিয়ে দিল্লি এম্বাসির মাধ্যমে সরাসরি গিয়ে জমা দিতে পারবেন অথবা দালালের মাধ্যমে আপনারা জমা দিতে পারবেন তবে অবশ্যই মনে রাখবেন বিশ্বাস ছাড়া কখনই ভিসার জন্য আবেদন করবেন না কেননা দালালরা সচরাচর অনেকটাই না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই সরাসরি গিয়েই ভিসার জন্য আবেদন করা উচিত।
কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে | কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত ?
বেলিজ ভিসার দাম কত | Belize work permit fees
বন্ধু যা একজন সাধারণ কর্মী ভিসার দাম 1500 ডলার। ন্যাশনাল এগ্রিকালচার ওয়ার্কার এর ভিসার দাম হচ্ছে 150 ডলার। তাছাড়াও আনুষঙ্গিক আদার্স খরচ সহ কিছুটা খরচ বেড়ে যেতে পারে। একজন টেকনিক্যাল ওয়ার্কারের ভিসার দাম 3000 ইউএস ডলার। তাছাড়া প্রফেশনাল ওয়ার্কার এর মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি টিচার ও স্কুল টিচার এর জন্য তিন হাজার ইউএস ডলার ভিসার দাম।
বেলিজ এ কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে বলেছেন কয়েক ধরনের কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে যেমন তেল পরিশোধনের কারখানাতে ব্যাপক কাজের চাহিদা সহ কৃষিকাজে প্রতিনিয়ত চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়াও বর্তমানে ইলেকট্রিশিয়ান অথবা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্যান্য সেক্টর গুলোতেও বর্তমানে কাজের চাহিদা রয়েছে। তাই সহজে বর্তমানে কাজ পাওয়া যাচ্ছে কৃষি এবং মেকানিক্যাল সহ তেল শোধনাগার এ। তবে এই সমস্ত জায়গায় আপনি সরাসরি গিয়ে কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন পাশাপাশি আপনি অন্যান্য কাজে ওপার টাইমে সময় দিতে পারবেন।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
বেলিজ এ কাজ পাওয়ার উপায়
যদি কেউ বেলিজে প্রবেশ করে থাকেন তবে যদি কাজ না পেয়ে থাকেন তাহলে। বেলি যে গভমেন্ট জব ওয়েবসাইটগুলোতে আপনারা আবেদন করতে পারেন শিল্পের মাধ্যমে সেখানে আবেদন প্রক্রিয়া জমা দেওয়ার পরেই তারা ফোন করে অথবা ই-মেইল এর মাধ্যমে জব নিশ্চিত করবে পাশাপাশি আপনি সরাসরি তাদের বিভিন্ন কোম্পানিতে যে কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন এসমস্ত কোম্পানিগুলো অনলাইন থেকে জেনে নিতে হবে। এই ছিল আজকে আমাদের বেলিজ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য
বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন ও প্রবাসী লোন পদ্ধতি